তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও একদিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা আবারও ৪০ ডিগ্রির ওপরে উঠে গেছে। ফলে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে জেলার মানুষ।
রোববার (৫ মে) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনে তাপমাত্রা বেড়েছে ১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে বাতাসের আদ্রতার পরিমাণও বেড়েছে।চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, টানা ১০ দিন পর শনিবার চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির নিচে নামলেও একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে। শনিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ ৩২ শতাংশ। ৬ মে জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে।টানা ১০ দিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা হ্রাস পায় ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র থেকে অতি তীব্র দাবদাহে পুড়ছিল চুয়াডাঙ্গা। ১০ দিনের মধ্য ৫ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়। সূর্যের প্রখরতা আর গরম বাতাসে জনজীবন হাঁসফাঁস অবস্থায় পরিণত হয়েছিল। তাপমাত্রা কমলেও ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে জনজীবন।
১০ দিনের তাপমাত্রা উল্লেখ করে তিনি জানান, ২৪ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৫ এপ্রিল ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৬ এপ্রিল ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৭ এপ্রিল ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৮ এপ্রিল ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৯ এপ্রিল ৪৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৩০ এপ্রিল ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১ মে ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২ মে ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ৩ মে ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।