পাকিস্তানে কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফকে (পিটিআই) নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার।
আত্তা তারার বলেন, সরকার পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফকে (পিটিআই) নিষিদ্ধ করার জন্য একটি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে আমরা মন্ত্রিসভা এবং সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করব।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস করা এবং দাঙ্গা উসকে দেওয়াসহ অভিযোগ তুলে ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের তারার বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি পিটিআইকে নিষিদ্ধ করা উচিত এমন বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে।‘
তারার আরও বলেন, “আমরা মনে করি, সংবিধানের ১৭ নম্বর আর্টিকেলে সরকারকে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে আনা হবে।“
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান সরকার ইমরান খান এবং দলের অন্য দুই জ্যেষ্ঠ নেতা- পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ও জাতীয় পরিষদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনার পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনা আপিল দায়ের করার পরিকল্পনাও করা হয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে পিটিআইকে অযোগ্য ঘোষণা করেছিল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। ফলে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পিটিআইয়ের প্রার্থীরা ব্যাপক সফলতা পান। নির্বাচনের পর পিটিআইকে সংরক্ষিত আসনও দেওয়া হয়নি। তবে গত শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, পিটিআই দল হিসেবে যোগ্য। তারা ২০টির বেশি সংরক্ষিত আসন পাবে।
এমনটি হলে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ সাধারণ পরিষদে একক দল হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে ইমরানের দল পিটিআই। এতে আশংকা দেখা দিয়েছে দেশটির বর্তমান দুর্বল জোট সরকার আরও চাপে পড়ার। তাই সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত আগস্ট থেকে জেলে থাকা ইমরান খানকে গত শনিবার ইদ্দত মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নতুন আটকাদেশ জারি করায় তিনি মুক্তি পাননি। ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসা ইমরান খান ২০২২ সালে এক অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন।