তিন্নির চাচা আবু হানিফ বিপ্লব বলেন, বাবার মৃত্যুর পর তিন্নি মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও স্বজনদের কথায় এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যায় সে। পরীক্ষা শেষে তিন্নি বাড়ি ফেরার পর বাদ আসর তার বাবার জানাজা হয়। জানাজায় আত্মীয়স্বজন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পাড়া-প্রতিবেশী ও আশপাশের এলাকার কয়েক শ মানুষ অংশ নেয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
কেন্দ্রসচিব নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তিন্নির বাবার মৃত্যুর বিষয়টি আমরা সকালেই জানতে পেরেছিলাম। সে সবার সঙ্গে বসে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এক হাতে বারবার চোখ মুছছিল। অন্য হাতে পরীক্ষার খাতায় লিখেছে।’
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন বলেন, ‘বাবা হারানোর কষ্ট নিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তিন্নি। বিষয়টি কেন্দ্র সচিবকে জানানো হয়েছে। ঠিকাদারকে বলব দ্রুত যেন সড়কের কাজ শেষ করা হয়।’