শিরোনাম
শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী মোবাইল ইন্টারনেট নিয়ে যা জানাল বিটিআরসি পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কাদেরের আন্দোলনকারীদের দেশে থাকার অধিকার নেই: জাফর ইকবাল স্ত্রীর দাবি নিয়ে স্বামীর বাড়িতে অনশন আগামীকাল সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা শাবি ছাত্রলীগের কক্ষ থেকে পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে ২৭ শতাংশ, আগস্ট থেকে কার্যকর রাবি প্রশাসনকে সময় বেধে দিলেন আন্দোলনকারীরা রংপুর পার্ক মোড়ের নাম ‌‘শহীদ আবু সাঈদ চত্বর’ দিলেন শিক্ষার্থীরা কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু নওগাঁয় কোঠা সংস্কার মিছিল ছাত্রলীগের বাঁধায় পন্ড, উভয় পক্ষের বাহাস জামালপুরে ট্রেন ও সড়ক অবরোধ কফিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার শপথ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার : সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মানিকগঞ্জের গড়পাড়া ইমাম বাড়িতে পবিত্র আশুরার শোক মিছিল মানিকগঞ্জের গড়পাড়া ইমাম বাড়িতে পবিত্র আশুরার শোক মিছিল বিশ্ব গণমাধ্যমে কোটা আন্দোলনে নিহতের খবর পাসপোর্টের রোকনের ঘরে আলাদিনের চেরাগ নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে লাগামহীন ঘুষ বাণিজ্য : রোহিঙ্গা পাসপোর্টও হয়
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন

বৃদ্ধাকে অপমানে ক্ষেপলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় : মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪

লালমনিরহাটে অসহায় ভূমি ও গৃহহীনদের জমির মালিকানা দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বৃদ্ধাকে অপমান করায় ক্ষেপেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মাইক্রোফোনে কথা বলছিলেন বিধবা নারী শাহেরুন। বেশি সময় নিয়ে কথা বলায় তার হাত থেকে কর্তৃপক্ষ মাইক্রোফোনটি নিয়ে নেয়। এটি দেখেই ক্ষেপে যান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলে ওঠেন, ‘এই এই এটা কী করো, এটা কেমন কথা হলো। একজন মানুষ মোনাজাত করছেন, আর হাত থেকে সেটা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। হোয়াট ইজ দিস। এটা কী?’

এরপর পুনরায় মাইক্রোফোনটি ওই নারীর কাছে ফিরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং নিজের জীবনের কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। তিনি ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ আয়ু কামনা করে মোনাজাত ও কালীগঞ্জ উপজেলায় আসার আমন্ত্রণ জানান।

এদিন বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের জমির মালিকানা দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সুবিধাভোগীদের কাছে জমির মালিকানা দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর করা হয়। এদিন সারাদেশে গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরইমধ্যে আমরা তালিকা করেছি কোন কোন এলাকায় কতগুলো ঘর পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কতগুলো আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। যাদের ঘরবাড়ি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে তাদেরকে আমরা ঘর তৈরি করে দেব। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো নির্মাণের উপকরণ দিয়ে সহায়তা করব। প্রাকৃতিক দুর্যোগে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের পাশে আমরা আছি। প্রাথমিকভাবে যা যা প্রয়োজন তা দিয়ে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রত্যেকে যেন ঘর নির্মাণ করতে পারেন সেই ব্যবস্থা আমি করে দেব। এরইমধ্যে সেভাবে আমার প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রত্যেক এলাকা থেকে আমরা তথ্য সংগ্রহ করেছি। সে অনুযায়ী আমরা সহায়তা পাঠাব।

তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করার পর অবৈধভাবে ক্ষমতার দখলকারীরা এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে ব্যস্ত ছিল। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জনগণের সেবক হিসেবে যাত্রা শুরু করে। তখন থেকেই ভূমিহীন মানুষদের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তখন বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তারপরও ভূমিহীন মানুষদের মধ্যে ঘর তৈরি করার জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প নিয়ে আমরা ঘর বানাতে শুরু করি।

 


এই বিভাগের আরও খবর