সিলেট মহানগরের ৩৫নং ওয়ার্ডের মেজরটিলার চামেলীবাগ আবাসিক এলাকায় ভূমিধসে একটি বাসার ৩ জন আটকা পড়েছেন। প্রায় ৮ ঘণ্টা হতে চললেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে তাদের উদ্ধার করা এখনো সম্ভব হয়নি। শুরু থেকে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় জনতা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। এবার এ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনীর একটি টিম।
জানা গেছে, উদ্ধারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে হাতে চালাতে হচ্ছে কার্যক্রম। যে কারণে আটকা পড়াদের উদ্ধার করতে দেরি হচ্ছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন- দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার গলিটি অত্যন্ত সরু। যে কারণে ফায়ার সার্ভিস ও সিসিকের গাড়ি বা মাটি কাটার যন্ত্র ঢুকানো যাচ্ছে না। উদ্ধার তৎপরতা ম্যানুয়ালি চালানো হচ্ছে।
সোমবার (১০ জুন) ভোর ৬টার দিকে ভূমি ধসের ঘটনা ঘটে। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেনাবাহিনীও উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণ করে।
সকাল ১০টায় শাহপরাণ থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী জানান- সকাল ৭টার দিকে খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। ভারী বৃষ্টির কারণে টিলার মাটি ধসে একটি আধাপাকা ঘরের উপরে পড়েছে। এর নিচে ৩ জন লোক আটকা পড়েছেন। ঘরটি টিলার নিচেই ছিলো।
সিসিকের ৩৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলম সিলেটভিউ-কে বলেন- ভোর ৬টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। এই বাসায় দুই ভাই তাদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। ভূমি ধসে ঘরের নিচে ৬ জন আটকা পড়েছিলেন। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আমরা এসে এক ভাই, তার স্ত্রী ও তাদের সন্তানকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরেছি। তবে আরেক ভাই, তার স্ত্রী ও ১ বছরের সন্তান এখনো আটকা আছেন। বৃষ্টির কারণে উদ্ধার আভিযান কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া রাস্তা ছোট হওয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের গাড়ি ঢুকতে পারছে না। ফলে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তাই হাত দিয়েই উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলতে দেখা গেছে। কিন্তু কাউকে জীবিত বা মৃত উদ্ধার করা যায়নি।
উল্লেখ্য, মেডিকেল চেকআপের জন্য সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে ছিলেন। লন্ডনে যাওয়ার পরই বন্যার কবলে পড়ে সিলেট মহানগর। নগরবাসী প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়ায় মেডিকেল চেকআপ পুরোপুরি শেষ না করেই আজ সিলেট ফিরে এসেছেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিসিক মেয়র একটি ফ্লাইটে লন্ডন থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পেঁছেন। পরে এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি সিসিক মেয়র ঘটনাস্থলে ছুটে যান।