কেমন ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
কীভাবে কথা বলতে হবে, কীভাবে চলতে হবে, স্বামী হিসেবে, পিতা হিসেবে, বন্ধু হিসেবে এমনকি আত্মীয় ও প্রতিবেশী হিসেবে কী করণীয় তার আদর্শ নমুনা খুঁজে পাওয়া যায় প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর জীবনাদর্শে।
প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সা.) দেখতে কেমন ছিলেন একজন নবীপ্রেমিক মাত্রই জানতে আগ্রহী হয়ে উঠবেন। প্রিয় নবীর আকার-আকৃতি সম্পর্কে অনেক সাহাবি (রা.) থেকে বর্ণনা পাওয়া যায়।
ব্যবসায়ী হিসেবে, রাষ্ট্রনেতা হিসেবে তিনি রেখে গেছেন সর্বোত্কৃষ্ট উদাহরণ। সর্বক্ষেত্রে শোভন আচরণের প্রতীক ছিলেন তিনি। হযরত মুহম্মদ (সা.) কে জীবনের সবক্ষেত্রে অনুসরণ মুমিনদের অবশ্য কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। কারণ এর মাধ্যমে নবীপ্রেমের প্রকাশ ঘটে।
হযরত মুহম্মদ (সা.) কে অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলা সম্ভব হয়। ব্যক্তিজীবনে হযরত মুহম্মদ (সা.) কেমন ছিলেন তার চিত্র পাওয়া যায় বিভিন্ন হাদিসে।
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.) তোমাদের মতো দ্রুত কথা বলতেন না।
তিনি এমনভাবে কথা বলতেন যে, কেউ তা (শব্দ সংখ্যা) গণনা করতে চাইলে সহজেই গণনা করতে পারত (বোখারি ও মুসলিম থেকে মিশকাতে)।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.) এর মুখ দিয়ে কখনো অশ্লীল কথা, অভিশাপ বাক্য ও গালির শব্দ বের হয়নি। অসন্তোষের সময় তিনি বলতেন, তার কী হয়েছে, তার চেহারা ধূলিমলিন হোক (বোখারি থেকে মিশকাতে)।
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ (সা.) আলুথালু চুলবিশিষ্ট এক ব্যক্তিকে দেখে বললেন, তোমাদের কোনো ব্যক্তি নিজেকে কুশ্রী বানায় কেন? অতঃপর তিনি হাতের ইশারায় তার চুল ছেঁটে পরিপাটি করতে বললেন (তাবারানির আল-মুজামুস সগির)।