মো. ইউনূস। বয়স তার ৯২ বছর। এই বয়সেও ভোট দেওয়ার প্রবল ইচ্ছে জাগে তার মনে। অসুস্থ শরীর নিয়ে ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না, তারপর ভোট দেবেন তিনি। তার এই আগ্রহ দেখে তার ভাতিজা তাকে ভোট দিতে কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। লাঠিতে ভর দিয়ে ভাতিজার হাত ধরে কেন্দ্রে এসে ভোট দেন ইউনূস। ভোট দিতে পেরে অনেক খুশি তিনি।
বুধবার (৫ জুন) সকাল ১০টার দিকে মনপুরা উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ১১ নম্বর সাকুচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন ইউনূস। তিনি ওই একই এলাকার বাসিন্দা।
ভোট দেওয়ার পর ইউনূস তার অনুভূতির কথা জানান। তিনি বলেন, ‘বয়স প্রায় শেষ। দীর্ঘদিন ধরে আমি অসুস্থ। ঠিকমতো হাঁটা-চলা করতেও পারি না। ভাবলাম জীবনে শেষবারের মতো উপজেলা নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেই। সেকারণেই কেন্দ্রে আসা। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে আমি আনন্দিত। আমার ভাতিজা কেন্দ্রে আসতে আমাকে সহযোগিতা করেছে। তার সহযোগিতায় আমি ভোট দিতে পেরেছি।
বৃদ্ধের ভাতিজা মো. শহিদ বলেন, ‘ভোট দেওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার। আমার চাচা শেষ বয়সে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে আসেন। তার ভোট দেওয়ার আগ্রহ দেখে তাকে কেন্দ্রে নিয়ে আসি। এই বৃদ্ধ বয়সে, অসুস্থ শরীর নিয়ে তার ভোট দেওয়ার আগ্রহ দেখে পরিবারের সবাই অবাক।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো.আলমগীর হোসেন জানান, সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচন সুস্থ ভবে হচ্ছে। তাছাড়া দুইটি উপজেলায় পুলিশ ও আনসার সদস্য ছাড়াও কাজ করছে র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। দুইটি উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ২৬টি ইউনিয়নে ৩১ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত আছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
চরফ্যাশন ও মনপুরা এই দুই উপজেলায় ৩টি পদে মোট ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই দুই উপজলায় ২৬টি ইউনিয়নের ১৫৫টি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ চলছে। তা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এরপর ব্যালট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করা হবে।