হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এনএসআই-কাস্টমস-এপিবিএনের যৌথ অভিযানে ২ কেজি ১০৪ গ্রাম স্বর্ণবার এবং স্বর্ণের অলংকার উদ্ধার করা হয়েছে। এই স্বর্ণপাচারের চেষ্টাকালে যৌথ অভিযানে চারজন আটক হয়েছেন।
বুধবার ভোরে ইউএস-বাংলার দুবাই ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণের পর এসব স্বর্ণ উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
তিনি জানান, বুধবার ভোরে ইউএস-বাংলার দুবাই ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে। এ সময় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যানুযায়ী, এনএসআই- এপিবিএন-কাস্টমসের একটি যৌথ অপারেশন টিম গ্রিন চ্যানেল এবং এর বাইরে অপেক্ষমাণ ছিল। আনুমানিক সকাল ৬টার সময় একে একে এই ফ্লাইটের সব যাত্রী বের হয়ে যেতে থাকেন। এ সময় চারজন যাত্রীকে থামানো হয়।
তারা হলেন— আব্দুল কাদির (৪১), মো. জুয়েল হোসেন (৩৪), ইব্রাহিম খলিল (৪০) ও খোরশেদ আলম (৪২)। তারা প্রত্যেকেই ইউএস-বাংলার বিএস৩৪২ ফ্লাইটের যাত্রী। তাদের কাছে স্বর্ণ বা স্বর্ণালংকার আছে কিনা সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা কোনো ধরনের স্বর্ণ বহনের কথা অস্বীকার করেন। কিন্তু গোয়েন্দা তথ্য থাকায় এবং যাত্রীদের আচরণে সন্দেহ হওয়ায় আভিযানিক দল তাদের অধিকতর তল্লালির সিদ্ধান্ত নেয়।
এ সময় অভিযানে অংশ নেওয়া সব সংস্থার প্রতিনিধিদের সামনে যাত্রীদের আবার তল্লালি করলে তাদের প্রত্যেকের পরিধেয় পোশাকে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩১৬ গ্রাম করে ভেজা স্বর্ণের পাউডার, একটি করে গোল্ড বার এবং ৯৪ গ্রাম করে স্বর্ণের অলংকার পাওয়া যায়। প্রত্যেক যাত্রীই একই মাপের এবং ওজনের স্বর্ণ বহন করছিলেন। প্রত্যেকের কাছেই ৫২৬ গ্রাম করে স্বর্ণ পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরও জানান, আটককৃত যাত্রীদের মধ্যে মো. জুয়েল হোসেন পটুয়াখালী জেলার বাসিন্দা, ইব্রাহিম খলিল ও আব্দুল কাদির মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দা এবং খোরশেদ আলম গাজীপুরের বাসিন্দা। আটককৃত যাত্রীদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।