বলিউডে প্রথম ভৌতিক সিনেমা তৈরি করে ‘রামসে ব্রাদার্স’ প্রযোজনা সংস্থা। টিভিপর্দায় রমরমিয়ে চলছিল তাদের ভূতের সিরিয়াল, সিনেমা। যেসবের মাঝে ‘জি হরর শো’- আজও ভোলেনি ভারতীয় দর্শকেরা।
এই ‘রামসে ব্রাদার্স’-এর তৈরি বহু ভৌতিক সিনেমার মধ্যে একটা ছবি নাকি সত্য ঘটনা অবলম্বনে বানানো হয়েছে। যেই সিনেমাটির নাম ‘ভিরানা’।
সত্য ঘটনা অবলম্বনেই ১৯৮৮ সালে বানানো হয়েছিল এই ছবি। খোদ রামসে-র নাতনি আলিশা কৃপালানি তার লেখা বই ‘আমাদের বাড়ির পেছনের ভূত’-এ সেই ঘটনা উল্লেখ করেছেন।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? কোন ঘটনা থেকে বানানো হয় ‘ভিরানা’?
আলিশা লেখেন, ১৯৮৩ সালে মহাবালেশ্বরের পুরোনো মন্দির থেকে শুট শেষ করে মুম্বাইয়ে বাড়ি ফিরছিলেন শ্যাম রামসে। পথে এক মহিলাকে তিনি লিফট দেন। মহিলা অসম্ভব সুন্দরী ও লাস্যময়ী ছিলেন।
গাড়িতে একসঙ্গে কিছুটা পথ অতিক্রম করার পর শ্যাম বুঝতে পারেন, তার পাশে বসা মহিলা স্বাভাবিক নন। আচমকা মহিলার পায়ের দিকে তাকাতেই কেঁপে ওঠেন পরিচালক। মহিলার পায়ের পাতা ছিল উল্টো। এরপরই সেই লাস্যময়ী নারী একটি কবরস্থানের পাশে নেমে যান। পুরো ঘটনায় ভয়ানক ভয় পান শ্যাম রামসে। যেই ঘটনা থেকেই ‘ভিরানা’ বানানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যেই সিনেমার গল্পে দেখা যায়, এক সুন্দরী ডাইনি পুরুষদের নিজের রূপের জালে ফাঁসিয়ে খুন করে।
১৯৮৮ সালের ৬ মে মুক্তি পায় ‘ভিরানা’। নায়িকা জ্যাসমিন ঢুন্না রাতারাতি স্টার হয়ে যান এক সিনেমাতেই। পর্দায় এই নায়িকাকে দেখে প্রেমে পরে যান দাউদ ইব্রাহিমের মতো মাফিয়া।
৬০ লাখ টাকায় বানানো এই ছবি দেড় কোটির ব্যবসা করে সে সময়ে। তবে এই এক সিনেমার পরেই বলিউড ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যান জ্যাসমিন। অনেকে মনে করেন দাউদ ইব্রাহিমের নজর পড়ায় সিনেমায় আর অভিনয় করেননি তিনি।