ঈদুল আজহা উপলক্ষে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ১২টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের ইজারা দিয়েছে প্রশাসন। এতে পশু বিক্রির জন্য অস্থায়ী হাট গুলোর ইজারাদাররা প্রস্তুতি শেষ করেছেন। এখন ক্রেতা-বিক্রেতার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন ইজারাদাররা।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার রাজদিয়া অভয় পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অস্থায়ী গরু ছাগলের হাটে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো মাঠ গরু বাঁধার জন্য বাঁশ লাগানো হয়েছে। আবার ত্রিপলও দেওয়া হয়েছে, যাতে বৃষ্টিতে কোনো পশু না ভিজে। কয়েকজন ব্যবসায়ী এরই মধ্যে হাটে ১০-১২ টি পশু নিয়ে এসেছেন। এছাড়া হাটে কিছু গরু থাকলেও ক্রেতা নেই এবং লোক সমাগম দেখা যায়নি। মাঠে যুবক ও কিশররা খেলা ধুলা করছে। একেবারেই ঢিলেঢালা ভাব দেখা যাচ্ছে। তবে এ উপজেলার ১২টি অস্থায়ী হাট বৃহস্পতিবার থেকে একটানা ঈদের দিন পর্যন্ত চলবে। জানা যায়, আগামী ১৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ১২টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসছে। ইছাপুরা অস্থায়ী গরু ছাগলের হাট,কুচিয়ামোড়া অস্থায়ী গরু ছাগলের হাট,নয়াগাঁও মাদবরের অস্থায়ী গরু ছাগলের হাট,মালখানগর অস্থায়ী গরু ছাগলের হাট,হাজী বাজার অস্থায়ী গরু ছাগলের হাট,বানু মার্কেট অস্থায়ী গরু ছাগলের হাট,মাস্টার আ.রহমান একাডেমী অস্থায়ী গরু ছাগলের হাট,খালপাড় অস্থায়ী গরু ছাগলের হাট,ইমমগঞ্জ অস্থায়ী গরু ছাগলের হাট,নাজিরা বাজার অস্থায়ী গরু ছাগলের হাট, রাজদিয়া অভয় পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ অস্থায়ী গরু ছাগলের হাট,রশুনিয়য়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের অস্থায়ী কোরবানি পশুর হাট। রাজদিয়া অভয় পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট দেখতে আসা আল মাহমুদ বলেন, হাটে গরু উঠছে কিনা দেখতে এসেছি,তবে হাটে এসে দেখি ৫-৭টি গরু উঠেছে। আমি শুক্র-শনিবার গরু কিনব। এখন শুধু দেখতে এসেছি। বিক্রেতা মো.ইকবাল বলেন, হাটে এখন গরু-ছাগল কম। বেচাকেনা নেই। ২টি গরু এনে খরচ করেই যাচ্ছি। বিক্রি করতে পারিনি। গরু এনে রাখলেই খরচ। কবে থেকে জমতে পারে গরুর হাট- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী শুক্র-শনিবার থেকে জমবে হাট। ইছাপুরা হাটের দায়িত্বে থাকা বাবু চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে আমাদের হাটে বেচাবিক্রি শুরু হবে। তাই এখন গরু কম হাটে। তবে কাল থেকে পশু দিয়ে মাঠ কানায় কানায় ভরে যাবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, ইতিমধ্যে আমাদেরই ১২টি অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা সম্পন্ন হয়েছে। ইজারাদাররা তাদের হাটগুলো প্রস্তুত করছেন। বৃহস্পতিবার থেকেই হাটগুলোতে বেচাবিক্রির শুরু হয়ে যাবে। আমরা সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি। এছাড়া ইজারাদারকে ও নিজস্বভাবে নিরাপত্তাকর্মী রাখার পরামর্শ দিয়েছি। এছাড়া পোশাকে সাদা পোশাকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর সদস্যরা থাকবে। যাতে করে কোন ধরনের অপক অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটতে পারে। সেজন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।