স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত গৃহবধূ ওই গ্রামের মো. আবুল খায়েরের স্ত্রী। তিন বছর আগে পার্শ্ববর্তী রাজিবপুর ইউনিয়নের বৃ-দেবস্থান গ্রামে তিনি বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান রয়েছে।
ওই গৃহবধূর স্বামী আবুল খায়ের জানান, শনিবার ফজরের নামাজ পড়ার জন্য রাবেয়া ঘর থেকে বের হন।
মৃত্যুর খবর পেয়ে মেয়েকে দেখতে আসেন মা সফুরা খাতুন। তিনি বলেন, সে গত শুক্রবার বলেছে জিন তাকে যেকোনো সময় নিয়ে যাবে।
ঈশ্বরপুর গ্রামের স্থানীয়রা বলেন, বিভিন্ন কারণে মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানের এ যুগে জিনে মানুষ মেরে ফেলার গল্প অবিশ্বাস্য। গৃহবধূর চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রে তার স্পন্ডেলাইটিস ও ট্রমাটাইজ হওয়ার লক্ষণ ছিল বলে উল্লেখ করা রয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, গৃহবধূর লাশ সুরতহাল করার সময় গলায় দাগ পাওয়া গেছে। তাই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।