সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে ধর্ষণের অভিযোগের এক মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদের আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ শাহজাহান আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
এ সময় আসামির পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মামুনের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১০ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার পুলিশ প্রিন্স মামুনকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে প্রতারণা করে বিয়ে না করার অভিযোগে এক নারী রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ফৌজদারি বিধির ৩২৩, ৩০৭ ও ৫০৬ ধারায় মামলাটি করেন। মামলার পর আদালতের নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলায় ওই নারী উল্লেখ করেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে মামুন বিয়ের প্রলোভনে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনও বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই তার কথা সরল বিশ্বাসে নিয়ে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দেই।
তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওই দিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার মা-বাবা মাঝে মধ্যেই বাসায় এসে অবস্থান করতো। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার আমাকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।