তারা বলেছে, ‘সি-এজ টেকনোলজি’কে এনপিসিআইভিত্তিক খুচরা লেনদেনব্যবস্থা থেকে অস্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এনপিসিআই আরও জানিয়েছে, যেসব ব্যাংক সি-এজ টেকনোলজি থেকে প্রযুক্তি ব্যবহার করত, তাদের গ্রাহকেরা সাময়িকভাবে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন না। লেনদেন নেটওয়ার্ক পরিষেবা থেকে ওই ব্যাংকগুলোকে সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের ভাষ্য, যে ৩০০টি ব্যাংক নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে, এগুলোর মাধ্যমে ভারতের দৈনিক মোট লেনদেনের মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হয়ে থাকে। এর ফলে অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে এর বিশেষ প্রভাব পড়বে না বলেই তাঁদের ধারণা। তবে এনপিসিআইয়ের ত্বরিত ব্যবস্থার কারণে বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো গেছে। এনপিসিআইয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতে প্রায় দেড় হাজার সমবায় ও আঞ্চলিক ব্যাংক আছে। এগুলোর বেশির ভাগই বড় শহরের বাইরে কাজ করে। এর মধ্যে বেশির ভাগই ছোট ব্যাংক। এই সাইবার হামলার কারণে ভারতের মোট লেনদেন পরিষেবায় তেমন একটা প্রভাব পড়েনি। এই হামলার পরিসর যেন আর না বাড়ে, তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে এনপিসিআই। খবর- প্রথম আলো
ভারতের শীর্ষ ব্যাংক ও ভারতীয় সাইবার কর্তৃপক্ষ দেশটির ব্যাংকগুলোকে কয়েক সপ্তাহ ধরে সম্ভাব্য সাইবার হামলা সম্পর্কে সতর্ক করছে। এর মধ্যেই গতকাল এই আক্রমণের ঘটনা ঘটে। সাইবার হামলা এখন অন্তর্ঘাতের নতুন ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। গত বছর ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাইবার ক্রাইম কো–অর্ডিনেশন সেন্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার একটি হ্যাকার গোষ্ঠী ভারতের প্রায় ১২ হাজার সরকারি ওয়েবসাইটে হামলার চক্রান্ত করছে।