প্লেনটি থাইল্যান্ড থেকে ফিরছিল। পথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যান্ডিং গিয়ার কাজ না করায় পেটের উপর ভর করে অবতরণের চেষ্টা করে। রানওয়েতে গড়িয়ে এটি একটি কংক্রিট ব্যারিয়ারে ধাক্কা খেয়ে আগুন ধরে যায়। এতে ১৮১ জন আরোহীর মধ্যে ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন। মাত্র দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারটির সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা ডেটা উদ্ধার প্রক্রিয়াকে জটিল করছে। এই ডেটা বিশ্লেষণের জন্য রেকর্ডারটি যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে। এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার তদন্তকারী দলকে সহায়তা করতে বোয়িং এবং মার্কিন জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ডের বিশেষজ্ঞরাও কাজ করছেন।
দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ
বিভিন্ন তত্ত্ব অনুযায়ী দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বার্ড স্ট্রাইক কিংবা যান্ত্রিক ত্রুটি উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমবারের ল্যান্ডিং প্রচেষ্টা সফল হলেও দ্বিতীয়বার গিয়ার ব্যর্থ হয়। রানওয়ের শেষে থাকা নেভিগেশন সিস্টেমের জন্য ব্যবহৃত কংক্রিট ব্যারিয়ারে প্লেনটি ধাক্কা খায়, যার ফলে আগুন ধরে যায় এবং অধিকাংশ যাত্রী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
দক্ষিণ কোরিয়া দুর্ঘটনায় মৃত ১৭৯ জনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। মুয়ান বিমানবন্দরে সাময়িক মর্গ থেকে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত স্বজনরা বিমানবন্দরে একটি অস্থায়ী বেদীতে প্রিয়জনদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
নতুন বছরের আনন্দ উৎসব স্থগিত রেখে দক্ষিণ কোরিয়া সাত দিনের জাতীয় শোক পালন করছে। বার্ষিক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান এবং কাউন্টডাউন উৎসব বাতিল করা হয়েছে। সিউল মেট্রোপলিটন সরকার ঘড়ির ঘণ্টা বাজানোর বদলে এক মিনিট নীরবতা পালনের আয়োজন করেছে।
দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই স্যাং-মক জানিয়েছেন, ব্ল্যাক বক্স এবং প্লেনের কাঠামোগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা হবে। একটি বিস্তৃত ও সঠিক তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য সবপক্ষ সমন্বিতভাবে কাজ করছে।