ঢাকা ০৬:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোটা না মেধা’ স্লোগানটি নিয়ে যা বললেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ‌‘কোটা না মেধা’ স্লোগানটি একটি ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত এবং উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা।বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

সাদ্দাম বলেন, কোটা নিয়ে আদালতের রায়ের পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফিরে এসেছে। এখন যারা আন্দোলনে আছে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। কোটার যৌক্তিক সংস্কার ও সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাধান ছাত্রলীগও চায়। এছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে যে কোনো সমস্যার সমাধানে বিশ্বাসী ছাত্রলীগ।

তিনি বলেন, যেখানে সরকারি চাকরির প্রতিটি পরীক্ষার্থীতেই একজন পরীক্ষার্থীকে প্রিলি, লিখিত ও ভাইভা প্রতিটি ধাপ পার হয়ে আসতে হয় তাই ‌‘কোটা না মেধা’ স্লোগানটি একটি ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত এবং উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা। এখানে মেধার বিপরীতে মেধার প্রতিযোগিতায় সমাজের অনগ্রসর অংশকে কিছুটা এগিয়ে দেয়া হয় যা পুরোপুরি ন্যায় এবং সংবিধান সম্মত।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রশাসনিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি বিচ্ছিন্ন কোনো আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সুরাহা সুচিন্তিত নয়। কন্সট্রাকটিভ পলিসির অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে এটি সমাধান করা সম্ভব।

আন্দোলনকে টেনেহেঁচড়ে এভাবে দীর্ঘায়িত করা উচিত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের সরকারের পরিপত্র আদালতের রায়ে এখনও বহাল। আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের পথকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা ঠিক হবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় সমন্বিত উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য জেলা কোটার প্রচলন হলেও কোটা তুলে দেবার পর তা থেকে বঞ্চিত হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল।

সাদ্দাম বলেন, সমাজের পিছিয়ে পরা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনগোষ্ঠীর জন্যও এটি সত্য। কোটা বাতিলের পর ৩৯তম বিসিএসে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ২৪ জন সুপারিশ পেয়েছেন এবং ৪০ ও ৪১ বিসিএসে সুপারিশ পেয়েছেন মাত্র দুইজন।

 

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কোটা না মেধা’ স্লোগানটি নিয়ে যা বললেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম

আপডেট সময় : ০৮:০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ‌‘কোটা না মেধা’ স্লোগানটি একটি ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত এবং উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা।বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

সাদ্দাম বলেন, কোটা নিয়ে আদালতের রায়ের পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফিরে এসেছে। এখন যারা আন্দোলনে আছে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। কোটার যৌক্তিক সংস্কার ও সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাধান ছাত্রলীগও চায়। এছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে যে কোনো সমস্যার সমাধানে বিশ্বাসী ছাত্রলীগ।

তিনি বলেন, যেখানে সরকারি চাকরির প্রতিটি পরীক্ষার্থীতেই একজন পরীক্ষার্থীকে প্রিলি, লিখিত ও ভাইভা প্রতিটি ধাপ পার হয়ে আসতে হয় তাই ‌‘কোটা না মেধা’ স্লোগানটি একটি ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত এবং উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা। এখানে মেধার বিপরীতে মেধার প্রতিযোগিতায় সমাজের অনগ্রসর অংশকে কিছুটা এগিয়ে দেয়া হয় যা পুরোপুরি ন্যায় এবং সংবিধান সম্মত।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রশাসনিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি বিচ্ছিন্ন কোনো আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সুরাহা সুচিন্তিত নয়। কন্সট্রাকটিভ পলিসির অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে এটি সমাধান করা সম্ভব।

আন্দোলনকে টেনেহেঁচড়ে এভাবে দীর্ঘায়িত করা উচিত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের সরকারের পরিপত্র আদালতের রায়ে এখনও বহাল। আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের পথকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা ঠিক হবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় সমন্বিত উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য জেলা কোটার প্রচলন হলেও কোটা তুলে দেবার পর তা থেকে বঞ্চিত হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল।

সাদ্দাম বলেন, সমাজের পিছিয়ে পরা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনগোষ্ঠীর জন্যও এটি সত্য। কোটা বাতিলের পর ৩৯তম বিসিএসে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ২৪ জন সুপারিশ পেয়েছেন এবং ৪০ ও ৪১ বিসিএসে সুপারিশ পেয়েছেন মাত্র দুইজন।