তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কে দৃঢ় প্রাণশক্তি, গতিশীলতা এবং উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে দুই দেশের জনগণেরই ব্যাপক সমর্থন রয়েছে এবং শক্তিশালী ও দৃঢ় উন্নয়নের গতি বজায় থাকবে বলে আশা রয়েছে।’
এছাড়াও এ সফর যৌথভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বৈধ অধিকার ও স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ব্রিকসের অংশীদার দেশ হতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে চীন। বাংলাদেশ শিগগিরই ব্রিকসের সদস্য হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের মানবিক চেতনার ভূয়সী প্রশংসা করে চীন। চীন যুদ্ধবিরতি ও সংলাপের জন্য মিয়ানমার সঙ্ঘাতে জড়িত সবপক্ষকে সক্রিয়ভাবে চাপ দিচ্ছে। এভাবে দেশটি শরণার্থীদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের পথ প্রশস্ত করছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
ইয়াও বলেন, ‘বহুপাক্ষিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চীন প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি যৌথভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী চীন।’
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও চীন একই ধরনের মূল্যবোধ, জাতীয় স্বপ্ন ও উন্নয়ন পথের অংশীদার।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন বাংলাদেশের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি মূলনীতি এগিয়ে নিতে, পারস্পরিক আস্থা সংহত করতে, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে পারস্পরিক শ্রদ্ধার মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে লাভজনক সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরের মাধ্যমে উভয়পক্ষ বাস্তবসম্মত সহযোগিতায় নতুন সাফল্য অর্জন করবে, যা দুই দেশের জনগণের জন্য অধিকতর সুবিধা বয়ে আনবে বলে জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটা প্রমাণিত যে চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার এবং সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু।’
বাংলাদেশের আধুনিকায়নের অগ্রযাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ এবং স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে অনেকটা ভূমিকা রাখবে।
সূত্র : ইউএনবি