দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সর্ববৃহৎ পাইকারি আমের মুকাম বেলতলা আম বাজার। এই বাজার টি যশোর জেলার সীমানার শেষ ও সাতক্ষীরা জেলার প্রবেশদ্বার বেলতলা নামক স্থানে অবস্থিত। প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাসের শেষ পর্যন্ত চলে এ বাজারে আম বেচাকেনা। এ বছর আমের পাশাপাশি কাঠাল ও ড্রাগন ফল বেচাকেনায় সরগরম হয়ে উঠেছে বাজার টি।
সোমবার (২৪ জুন) সকালে বেলতলা বাজার সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বেশকিছু আড়ৎতে আমের পাশাপাশি কাঁঠাল ও ড্রাগন ফল পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে শ’ হিসাবে, আর ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে কেজিতে। বড় সাইজের কাঁঠাল গুলো ৭ থেকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত শ’ হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি পিস কাঁঠাল ৭০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ড্রাগন ফল প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে।
কাঁঠাল চাষী আসমান ও কাদের আলী বলেন, বিভিন্ন গ্রাম থেকে কাঁঠাল কিনে এনে বেলতলা বাজারে আড়ৎতে বিক্রি করি। এতে আমারা লাভবান হচ্ছি।
ড্রাগন ফল চাষী মেহেদী হাসান ও রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর ফলন বেশি, কিন্তু বৃষ্টির ভাগ কম তাই গতবছের চেয়ে ফলের সাইজ একটু ছোট। তবে এ বছর দাম কিছুটা কম এজন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা। আর এর জন্য চাষীরা দায়ী করছেন কিছু অসাধু ইউটিউবারদেরকে।
আড়ৎদার আবুল কালাম আজাদ, আমিরুল ইসলাম, ও তাজউদ্দিন সরদার বলেন, আমের মৌসুম প্রায় শেষ, এখন কাঁঠাল ও ড্রাগন ফল আড়ৎতে উঠতে শুরু করেছে। দিনদিন আমের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের ফল বাজারে আমদানি এবং রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বেলতলা ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লুকমান হেসেন বলেন, এ বছর আমের পাশাপাশি মৌসুমী ফল কাঁঠল ও ড্রাগন ফল বেচাকেনা শুরু হয়েছে। আগামীতে আরো আমদানি ও রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও বরুই মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণ বরুই (কুল) এই বাজার থেকে বেচাকেনা হয়। সব মিলিয়ে বেলতলা ফল বাজারটি দেশে এবং বিদেশে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, কমিটির পক্ষ থেকে বাহির থেকে আসা বেপারী ও চাষীরা যাতে নির্ভিগ্নে বেচাকেনা করতে পারে সে জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থাও রয়েছে।