ঢাকা ০৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশ ব্যাংক কি রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে উঠছে? উঠছে প্রশ্ন চাদর না দিয়ে ঘুমানো কঠিন কেন? কারণটি জানলে অবাক হবেন! সরকারি কর্মীদের মূল্যায়নে নতুন পথ, এপিএর বদলে জিপিএমএস চালু আসরানির মৃত্যু, অক্ষয়ের স্মৃতিতে ভাসছে এক সপ্তাহ আগের শুটিং মুহূর্ত স্পিনেই ৫০ ওভার! ওয়ানডে ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা, রেকর্ড ভাঙার পথে ম্যাচ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেফতার ১৩১ জন চুয়াডাঙ্গায় মদপানে ৬ জনের মৃত্যু, ৪ জনের মরদেহ উত্তোলন তেলাপোকা মারতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল পুরো অ্যাপার্টমেন্ট সাইবার আইনের মামলায় ঢাকার ঘটনায় বগুড়া থেকে ধরা পড়লেন ছাত্রনেতা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশে নজর রাজনৈতিক দলগুলোর

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে স্লোভাকিয়ার প্রস্তাব বিবেচনা করছেন পুতিন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান সংঘাত নিরসনে স্লোভাকিয়ার শান্তি আলোচনার প্রস্তাবে রাশিয়া ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। বৃহস্পতিবার মস্কোতে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোর সঙ্গে বৈঠক শেষে পুতিন এ মন্তব্য করেন।  

পুতিন বলেন, স্লোভাকিয়া তাদের দেশকে আলোচনার মঞ্চ হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কেন নয়? স্লোভাকিয়া একটি নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে।

স্লোভাকিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুরাজ ব্লানার বলেন, তাদের দেশ দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে কাজ করছে। পুতিনের মন্তব্য ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তির জন্য একটি ‘ইতিবাচক সংকেত’। তিনি আরও জানান, অক্টোবর মাসে একটি যৌথ মন্ত্রিসভা বৈঠকে স্লোভাকিয়া ইউক্রেনের প্রতি এ প্রস্তাব জানিয়েছিল।

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বারবার স্লোভাকিয়ার রাশিয়া-ঘনিষ্ঠ অবস্থানের সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে ২০২৩ সালের নির্বাচনের পর ক্ষমতায় ফিরে ফিকো রাশিয়ার প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব প্রকাশ করেছেন, যা ইউক্রেনের জন্য উদ্বেগের কারণ।

পুতিন উল্লেখ করেন, রাশিয়া আলোচনার জন্য প্রস্তুত, তবে ইউক্রেনে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

এদিকে, পুতিন আরও জানান, রাশিয়া নতুন মধ্যম-পাল্লার হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘ওরেশনিক’ প্রয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করছে। তবে এই অস্ত্র এক্ষুণি প্রয়োগের কোনো প্রয়োজন নেই।

পুতিন বলেন, প্রয়োজনে আমরা এটি এখন বা আগামীতে ব্যবহার করতে পারি। তিনি আরও জানান, রাশিয়ার শক্তিশালী অস্ত্র প্রয়োগের প্রস্তুতি সবসময় রয়েছে।

এই শান্তি প্রস্তাব রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিরসনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উন্মোচন করতে পারে। তবে দুই দেশের মধ্যে আস্থা ফেরানো এবং প্রকৃত সমাধানে পৌঁছানো এখনও সময় সাপেক্ষ।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংক কি রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে উঠছে? উঠছে প্রশ্ন

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে স্লোভাকিয়ার প্রস্তাব বিবেচনা করছেন পুতিন

আপডেট সময় : ০১:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান সংঘাত নিরসনে স্লোভাকিয়ার শান্তি আলোচনার প্রস্তাবে রাশিয়া ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। বৃহস্পতিবার মস্কোতে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোর সঙ্গে বৈঠক শেষে পুতিন এ মন্তব্য করেন।  

পুতিন বলেন, স্লোভাকিয়া তাদের দেশকে আলোচনার মঞ্চ হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কেন নয়? স্লোভাকিয়া একটি নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে।

স্লোভাকিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুরাজ ব্লানার বলেন, তাদের দেশ দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে কাজ করছে। পুতিনের মন্তব্য ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তির জন্য একটি ‘ইতিবাচক সংকেত’। তিনি আরও জানান, অক্টোবর মাসে একটি যৌথ মন্ত্রিসভা বৈঠকে স্লোভাকিয়া ইউক্রেনের প্রতি এ প্রস্তাব জানিয়েছিল।

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বারবার স্লোভাকিয়ার রাশিয়া-ঘনিষ্ঠ অবস্থানের সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে ২০২৩ সালের নির্বাচনের পর ক্ষমতায় ফিরে ফিকো রাশিয়ার প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব প্রকাশ করেছেন, যা ইউক্রেনের জন্য উদ্বেগের কারণ।

পুতিন উল্লেখ করেন, রাশিয়া আলোচনার জন্য প্রস্তুত, তবে ইউক্রেনে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

এদিকে, পুতিন আরও জানান, রাশিয়া নতুন মধ্যম-পাল্লার হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘ওরেশনিক’ প্রয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করছে। তবে এই অস্ত্র এক্ষুণি প্রয়োগের কোনো প্রয়োজন নেই।

পুতিন বলেন, প্রয়োজনে আমরা এটি এখন বা আগামীতে ব্যবহার করতে পারি। তিনি আরও জানান, রাশিয়ার শক্তিশালী অস্ত্র প্রয়োগের প্রস্তুতি সবসময় রয়েছে।

এই শান্তি প্রস্তাব রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিরসনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উন্মোচন করতে পারে। তবে দুই দেশের মধ্যে আস্থা ফেরানো এবং প্রকৃত সমাধানে পৌঁছানো এখনও সময় সাপেক্ষ।