রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভোলার চরফ্যাশনে সামরাজ মৎস্য ঘাট সমবায় সমিতির সভাপতি তারেক আজিজ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি দাবি করেছেন, তখন তাকে ঘাট থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত করা হয় এবং মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করা হয়। বর্তমানে ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল বিদেশে বসে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার সামরাজ মৎস্য ঘাট সমবায় সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন সভাপতি তারেক আজিজ।
লিখিত বক্তব্যে তারেক আজিজ বলেন, “আমি বিএনপি সমর্থক হওয়ায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মাদ্রাজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আমার সামরাজ মৎস্য আড়ত ভেঙে আমাকে ঘাট থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত করে। এ সময় আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয় এবং আমার চারটি মৎস্য ট্রলারে থাকা মাছসহ আড়তের প্রায় ৬ লাখ টাকার সম্পদ কেরানি ফারুকের মাধ্যমে লুট করে নেয়া হয়।”
তিনি আরও জানান, “২০১৮ সালের ৩০ মার্চ তোফায়েলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে গলার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এমনকি তখনও নিরাপদ আশ্রয় পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে অংশ নেওয়ার পর কেরামতগঞ্জ বাজারে আমার এবং আমার দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়।”
তারেক আজিজ অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তোফায়েল বিদেশে পালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি বিদেশে বসেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছেন এবং নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তিনি এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “আমার কাছ থেকে আদায়কৃত মোট ২৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ফেরত চাই।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সামরাজ মৎস্য ঘাট সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, বশার ও কামালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে তোফায়েলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার বাবা আব্দুর রশিদ বলেন, “বিষয়টি পারিবারিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।”
ভোলা প্রতিনিধি 
























