ঢাকা ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাবি প্রশাসনকে সময় বেধে দিলেন আন্দোলনকারীরা

রাবি প্রশাসনকে সময় বেধে দিলেন আন্দোলনকারীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ তিন দাবিতে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। পরে লিখিতভবে দুটি দাবি বাড়িয়ে পাঁচ দবিতে বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন। তবে সেই দাবিগুলো মেনে নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাই আবারও বিকাল ৪টা পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন কোটা সংস্কারব্যবস্থার আন্দোলনকারীরা। এ সময় উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা দিয়ে  অবরূদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

ক্যাম্পাসের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে বুধবার দুপুর একটার দিকে লিখিতভাবে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর ২টার মধ্যে এসব দাবির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা দীর্ঘ আলোচনা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়েন।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, তাদের পাঁচ দফা দাবির একটিও প্রশাসন মেনে নেয়নি। এজন্য প্রশাসনকে নতুন করে আরও এক ঘণ্টা সময় বেধে দিয়েছেন। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদেরকে প্রশাসন ভবনে রেখে গেটে তালা দেন আন্দোলনকারীরা। এতে অবরূদ্ধ হয়ে পড়েন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবিগুলো হলো

১। ক্যাম্পাসে আজীবন সবধরণের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চাই। লিখিতভাবে আজ ২টার মধ্যে প্রভোস্ট স্যারদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। ক্যাম্পাসে কোনো সন্ত্রাসী যাতে ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্টকে পদত্যাগ করতে হবে।

২। হল ভ্যাকান্সি এবং ক্যাম্পাস ছুটির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। মেস মালিকদের চিঠি দিয়ে মেসগুলো খোলা রাখতে হবে। হলের সিট ফাঁকা থাকা সাপেক্ষ প্রভোস্ট বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিট বরাদ্দ দিবেন।

৩। চলমান আন্দোলন নিয়ে যাতে কোনো মামলা না হয়-তা নিশ্চিত করতে হবে। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৪। বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে প্রশাসনিকভাবে মিডিয়ার উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে কাম্পাসকে নিরস্ত্রমুক্ত করতে হবে।

৫। ছাত্রলীগের দখলকৃত রুমগুলোকে গণরুমে পরিণত করতে হবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাবি প্রশাসনকে সময় বেধে দিলেন আন্দোলনকারীরা

আপডেট সময় : ১২:৩২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ তিন দাবিতে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। পরে লিখিতভবে দুটি দাবি বাড়িয়ে পাঁচ দবিতে বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন। তবে সেই দাবিগুলো মেনে নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাই আবারও বিকাল ৪টা পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন কোটা সংস্কারব্যবস্থার আন্দোলনকারীরা। এ সময় উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা দিয়ে  অবরূদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

ক্যাম্পাসের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে বুধবার দুপুর একটার দিকে লিখিতভাবে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর ২টার মধ্যে এসব দাবির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা দীর্ঘ আলোচনা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়েন।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, তাদের পাঁচ দফা দাবির একটিও প্রশাসন মেনে নেয়নি। এজন্য প্রশাসনকে নতুন করে আরও এক ঘণ্টা সময় বেধে দিয়েছেন। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদেরকে প্রশাসন ভবনে রেখে গেটে তালা দেন আন্দোলনকারীরা। এতে অবরূদ্ধ হয়ে পড়েন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবিগুলো হলো

১। ক্যাম্পাসে আজীবন সবধরণের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চাই। লিখিতভাবে আজ ২টার মধ্যে প্রভোস্ট স্যারদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। ক্যাম্পাসে কোনো সন্ত্রাসী যাতে ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্টকে পদত্যাগ করতে হবে।

২। হল ভ্যাকান্সি এবং ক্যাম্পাস ছুটির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। মেস মালিকদের চিঠি দিয়ে মেসগুলো খোলা রাখতে হবে। হলের সিট ফাঁকা থাকা সাপেক্ষ প্রভোস্ট বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিট বরাদ্দ দিবেন।

৩। চলমান আন্দোলন নিয়ে যাতে কোনো মামলা না হয়-তা নিশ্চিত করতে হবে। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৪। বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে প্রশাসনিকভাবে মিডিয়ার উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে কাম্পাসকে নিরস্ত্রমুক্ত করতে হবে।

৫। ছাত্রলীগের দখলকৃত রুমগুলোকে গণরুমে পরিণত করতে হবে।