চিড়িয়াখানায় জন্মানো এক হাজার ৩০০-এরও বেশি মটর দানার আকারের শামুক মুক্ত পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলো ধীরগতিতে আটলান্টিকের একটি প্রত্যন্ত দ্বীপে হেঁটে বেড়াবে। বিবিসি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে ডেসার্টাস দ্বীপের শামুকের দুটি প্রজাতি বন্য পরিবেশে ফিরল।
শামুকগুলোকে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের চিড়িয়াখানাগুলোতে নেওয়া হয়, যার মধ্যে চেস্টার চিড়িয়াখানাও ছিল। সেখানে তাদের জন্য রূপান্তরিত শিপিং কনটেইনারে একটি বিশেষ পরিবেশ তৈরি করা হয়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে কয়েকটি সংরক্ষণ অভিযান চলাকালে সংরক্ষণবাদীরা দ্বীপে মাত্র ২০০টি জীবিত শামুক খুঁজে পান। এই শামুকগুলোকে সংগ্রহ করে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
চিড়িয়াখানায় জন্মানো এক হাজার ৩২৯টি নতুন শামুককে শনাক্ত করার জন্য নিরাপদ রং ও নেইল পলিশ দিয়ে চিহ্নিত করা হয় এবং বন্য পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। মাদেইরার প্রাকৃতিক সংরক্ষণ ও বন বিভাগের জীববিজ্ঞানী ডিনার্টে টেইক্সেইরা বলেন, ‘এটি রঙের একটি কোড, যা আমাদের শামুকগুলো কোথায় ছড়িয়ে পড়ছে, কতটা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কতগুলো বেঁচে আছে এবং নতুন পরিবেশে কিভাবে মানিয়ে নিচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করবে।’
শামুকগুলোকে বুগিও দ্বীপে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। এটি ইলহাস ডেসার্টাস (মরুভূমি দ্বীপপুঞ্জ) দ্বীপপুঞ্জের একটি ছোট দ্বীপ ও বর্তমানে একটি প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য, যেখানে আগ্রাসী প্রজাতি নির্মূল করা হয়েছে।
চেস্টার চিড়িয়াখানার গেরার্ডো গার্সিয়া বলেন, ‘এটি একটি প্রজাতি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যদি সব ঠিকঠাক চলে, আগামী বসন্তে আরো শামুক মুক্ত পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এটি একটি বড় দলের প্রচেষ্টার ফল, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতিকেও সংরক্ষণ করা সম্ভব বলে দেখিয়েছে।’
চেস্টার চিড়িয়াখানার আরেক কর্মকর্তা হিদার প্রিন্স বলেন, ‘এই শামুকগুলো দ্বীপগুলোর প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তারা মাটি পুষ্টিকর করে তোলে, যা গাছপালা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এই ক্ষুদ্র শামুক ও অন্য ছোট প্রাণীদের ভূমিকা প্রায়ই উপেক্ষিত হয়। কিন্তু তারা বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় অপরিহার্য।’