ঢাকা ১১:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অভিবাসীদের সুসংবাদ দিলেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী

  • NEWS 21 BANGLA TV
  • আপডেট সময় : ০১:৫১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

অভিবাসীদের সুসংবাদ দিলেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী

সদ্য বিদায়ী কনজারভেটিভ সরকারের রুয়ান্ডা নীতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন নবনির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। এই নীতির আওতায় যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেয়া অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় পাঠানোর বিতর্কিত পরিকল্পনা করেছিল সাবেক ঋষি সুনাক সরকার। খবর আলজাজিরার।

সরকার গঠনের পর শনিবার (৬ জুন) প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আসেন স্টারমার। সেখানে তিনি বলেন, রুয়ান্ডা স্কিম শুরু হওয়ার আগেই মারা গেছে ও দাফন হয়ে গেছে। এটি কখনই প্রতিরোধক হিসেবে ছিল না। আর যেটা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে না, এমন কোনো কৌশল আমি অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত নই।

স্টারমার বলেন, ছোট নৌকায় করে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর সম্ভাবনা মাত্র এক শতাংশ। গ্যাং সদস্যদের এটি খুব ভালো করে জানা। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে ইউরোপে আসা অব্যাহত রেখেছে তারা।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিতর্কিত এই আইন পার্লামেন্টে পাস করে সুনাক সরকার। যদিও যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট সরকারের এই প্রকল্পকে মানবাধিকারের ভিত্তিতে বেআইনি হিসেবে রায় দেয়। তবে আদালতের রায়কে বাইপাস করে নতুন আইনে রুয়ান্ডাকে একটি নিরাপদ তৃতীয় দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তারপর মে মাস থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের গ্রেপ্তার শুরু করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।

কনজারভেটিভ সরকারের রুয়ান্ডা নীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। নিজে একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক হলেও এই নীতির পক্ষে শক্ত অবস্থান নেন তিনি। একই সঙ্গে ছোট নৌকায় অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীদের আগমন বন্ধ করার ঘোষণা দেন তিনি। এমনকি সংসদে বিরোধীরা এই পরিকল্পনায় আপত্তি করলে গত এপ্রিলে তিনি বলেছিলেন, কোনো যদি বা কিন্তু হবে না। যুক্তরাজ্য থেকে ফ্লাইট রুয়ান্ডায় যাচ্ছে।

বিগত কয়েক বছরে হাজারো অভিবাসনপ্রত্যাশী ছোট ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে গেছেন। তাদের মধ্যে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার যুদ্ধ ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা মানুষই বেশি। ঝুঁকিপূর্ণ নৌযাত্রা বা সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্রের সহায়তায় দেশটিতে পাড়ি জমান তারা।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

অভিবাসীদের সুসংবাদ দিলেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৫১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

সদ্য বিদায়ী কনজারভেটিভ সরকারের রুয়ান্ডা নীতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন নবনির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। এই নীতির আওতায় যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেয়া অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় পাঠানোর বিতর্কিত পরিকল্পনা করেছিল সাবেক ঋষি সুনাক সরকার। খবর আলজাজিরার।

সরকার গঠনের পর শনিবার (৬ জুন) প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আসেন স্টারমার। সেখানে তিনি বলেন, রুয়ান্ডা স্কিম শুরু হওয়ার আগেই মারা গেছে ও দাফন হয়ে গেছে। এটি কখনই প্রতিরোধক হিসেবে ছিল না। আর যেটা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে না, এমন কোনো কৌশল আমি অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত নই।

স্টারমার বলেন, ছোট নৌকায় করে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর সম্ভাবনা মাত্র এক শতাংশ। গ্যাং সদস্যদের এটি খুব ভালো করে জানা। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে ইউরোপে আসা অব্যাহত রেখেছে তারা।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিতর্কিত এই আইন পার্লামেন্টে পাস করে সুনাক সরকার। যদিও যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট সরকারের এই প্রকল্পকে মানবাধিকারের ভিত্তিতে বেআইনি হিসেবে রায় দেয়। তবে আদালতের রায়কে বাইপাস করে নতুন আইনে রুয়ান্ডাকে একটি নিরাপদ তৃতীয় দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তারপর মে মাস থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের গ্রেপ্তার শুরু করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।

কনজারভেটিভ সরকারের রুয়ান্ডা নীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। নিজে একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক হলেও এই নীতির পক্ষে শক্ত অবস্থান নেন তিনি। একই সঙ্গে ছোট নৌকায় অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীদের আগমন বন্ধ করার ঘোষণা দেন তিনি। এমনকি সংসদে বিরোধীরা এই পরিকল্পনায় আপত্তি করলে গত এপ্রিলে তিনি বলেছিলেন, কোনো যদি বা কিন্তু হবে না। যুক্তরাজ্য থেকে ফ্লাইট রুয়ান্ডায় যাচ্ছে।

বিগত কয়েক বছরে হাজারো অভিবাসনপ্রত্যাশী ছোট ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে গেছেন। তাদের মধ্যে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার যুদ্ধ ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা মানুষই বেশি। ঝুঁকিপূর্ণ নৌযাত্রা বা সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্রের সহায়তায় দেশটিতে পাড়ি জমান তারা।