শিরোনাম
টানা কয়েক দিনের বর্ষণে জলাবদ্ধতায় রূপগঞ্জে দুই লাখ মানুষের দুর্ভোগ প্রতারক মান্নান ও ওরফে ডিসির সিও মানিকের খপ্পরে পড়ে অসহায় সেলিনা পারভীন আজ সর্বহারা! নওগাঁয় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন কোটালীপাড়ার শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে বিনয় সভাপতি ও তসলিম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত মৌমাছি স্কুলের খুদে শিক্ষার্থীরা আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজে স্ট্যাডি ট্যুরে একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি নিউজ ২১ বাংলা টিভি’র পরিচালকের দ্বায়িত্ব পেয়েছেন সাংবাদিক মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন যশোর হোমিওপ্যাথিক কলেজ হামলা-মারপিট ও পদত্যাগ পত্রে জোর পূর্বক স্বাক্ষরের ঘটনায় থানায় মামলা, গ্রেফতার দুই ১৯৮৮ সালের পর এমন পরিস্থিতি কখনও দেখেননি শেরপুরবাসী কোটালীপাড়ায় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা সাংবাদিকের সাথে ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে- বদলগাছি স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মানিক রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি কিছু মৌলিক বিষয়ে কাজ করার প্রস্তাব জামায়াতের ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চরফ্যাশনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ গ্রেফতার যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন : মির্জা ফখরুল সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক শ্বশুর-শাশুড়ীর বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে! পুলিশকে অপরাধের তথ্য দিন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার কোটালীপাড়ায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা সন্ত্রাস চাঁদাবাজ ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জে যুবদলের সমাবেশ
সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০৯ অপরাহ্ন

সেই ইফাত মাকে নিয়ে দেশ ছেড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় : শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমানেরই ছেলে, যদিও গত বুধবার এই পরিচয় পুরোপুরি অস্বীকার করেন তিনি। আড়াল করেন ছেলের প্রকৃত পরিচয়। মতিউরের দাবি ছিল, ইফাত তার ছেলে নন, এই নামে কাউকে চেনেনও না। তবে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে মতিউরের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর ছেলে ইফাত।এবার শোনা যাচ্ছে মা শাম্মী আখতার শিভলী ও ভাই ইরফানকে নিয়ে দেশত্যাগ করেছেন মুশফিকুর রহমান ইফাত।

চাকরি জীবনের শুরু থেকেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামে-বেনামে সম্পদ গড়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. মতিউর রহমান। এরই মধ্যে দেশেই প্রায় ৫০০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের হদিস মিলেছে। ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, নরসিংদী ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট ও প্লট রয়েছে। এ ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নামে এফডিআর ও শেয়ারবাজারে নিজ নামে অর্ধশত কোটি টাকা বিনিয়োগ আছে। এমনকি ছাগলকাণ্ডে আলোচিত তরুণকেও কিনে দিয়েছিলেন প্রাডো, প্রিমিও ও ক্রাউনের মতো ৪টি বিলাসবহুল গাড়ি। এসব গাড়ি তার বিভিন্ন কোম্পানির নামে রেজিস্ট্রেশন করা। কিনে দিয়েছেন দামি দামি পাখিও।

রাজস্ব আয় বাড়ানোর গুরু দায়িত্বে থেকে সরকারকে রাজস্ববঞ্চিত করে গুছিয়েছেন নিজের আখের। কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদের প্রায় সবই গড়েছেন স্ত্রী-সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনদের নামে। সব মিলে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। কিনেছেন দামি গাড়ি, বাড়ি। এ কর্মকর্তা হাতে পরেন ৩১ লাখ টাকার বেশি দামের রোলেক্স ঘড়ি। তবে নিজেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখতেই নানা ধরনের কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।

এদিকে চাকরি জীবনের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে অতিসম্প্রতি ছাগলকাণ্ডে ফেঁসে গেছেন প্রভাবশালী এই সরকারি কর্মকর্তা। কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকায় ছেলের কেনা ছাগল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে বাবার পরিচয় প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হলে প্রথমপক্ষের স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকীর সঙ্গে আলোচনা করে পারিবারিক ড্রামা সাজান মতিউর। মিডিয়ার সামনে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান মুশফিকুর রহমান ইফাতের সঙ্গে তার সম্পর্ক অস্বীকার করেন। এতে বাঁধে জট। বাবার অস্বীকৃতি পারিবারিক টানাপড়েন চরমে ওঠে। সন্তান ইফাত রাগ-অভিমানে চেষ্টা চালান আত্মহননের।এক পর্যায়ে পরিবারের সম্মিলিত সিদ্ধান্তেই দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলী, ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত ও ইরফান দেশত্যাগ করে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। বুধবার চট্টগ্রাম হয়ে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করেন তারা। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে উল্লিখিত তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ১১তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯৩ সালের ১ এপ্রিল ট্রেড ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসাবে চাকরিতে যোগ দেন মতিউর রহমান। এক পর্যায়ে ট্রেড ক্যাডার প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত হলে মতিউর অ্যাডমিন ক্যাডারে না গিয়ে কৌশলে যোগ দেন কাস্টমস ক্যাডারে। এর আগে ১৯৯০-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত পল্লী কর্মসংস্থান ফাউন্ডেশনে (পিকেএসএফ) চাকরি করেন তিনি। বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম হাওলাদারের ছেলে মতিউর কাস্টমসে যোগ দিয়েই অর্থ-সম্পদের লোভে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ আছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালের দিকে সেগুনবাগিচায় কাস্টমস বন্ড অফিসে যোগ দেন মতিউর। সেখানে কর্মরত অবস্থায় বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তাকে বদলি করা হয় টেকনাফে। বদলির ছয় মাসের মধ্যেই তৎকালীন এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর ছেলে (যার নামের আদ্যাক্ষর ‘ব’) সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে ঢাকার শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগে পোস্টিং বাগিয়ে নেন। দীর্ঘদিন এখানে দায়িত্ব পালন করে ২০০৬ সালের শেষ দিকে তিনি বদলি হন চট্টগ্রাম বন্দর হাউজে।


এই বিভাগের আরও খবর