ঢাকা ০২:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মাদকের টাকা জোগাতে নিজ সন্তানকে বিক্রি বাবা-মায়ের

  • Meghla
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

শরীয়তপুরে নেশার টাকা জোগাতে নিজের দেড় মাসের শিশুকে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে মা-বাবার বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে শরীয়তপুর সদর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড চরপালং গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শিশুটির বাবা ইব্রাহীম খলিল শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ফতেজঙ্গপুর গ্রামের বাসিন্দা শওকত হাওলাদারের ছেলে। পরিবার নিয়ে শহরের চরপালং এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, ইব্রাহীম মাদক বিক্রি ও সেবনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এতে পরিবারে দেনা হয়। সেই দেনা পরিশোধে তিনি ছেলেকে প্রতিবেশী ইকবাল হোসেন ও তার স্ত্রী মুক্তা আক্তারের কাছে ৩১ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় একজন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে ফোন করেন। এরপর পালং মডেল থানার পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় রাতে শিশুটিকে উদ্ধার করে। আটক করা হয় ইব্রাহীম ও তার স্ত্রী শ্রাবণীকে। শিশুটির দাদা শওকত হাওলাদার ও দাদি ঝরনা বেগম থানায় গিয়ে মুচলেকা দিয়ে ইব্রাহীম ও শ্রাবণীকে ছাড়িয়ে নেন।

ইব্রাহিমের মা ঝরনা বেগম বলেন, আমি যখন শুনতে পাই আমার নাতিকে বিক্রি করেছে, তখন বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে আমার নাতিকে আমি নিয়ে এসেছি।

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঝরনা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে ইব্রাহিম খলিল ও শ্রাবণী বেগমকে আটকের পর শিশুটিকে উদ্ধার করে তার দাদি ঝরনা বেগমের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে ঝরনা বেগম অভিযোগ তুলে নিলে মুচলেকা নিয়ে ইব্রাহিম ও শ্রাবণীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে বিএসটিআই ও র‍্যাবের যৌথ অভিযানে ৫ লক্ষ্য টাকা জরিমানা

মাদকের টাকা জোগাতে নিজ সন্তানকে বিক্রি বাবা-মায়ের

আপডেট সময় : ০৬:৩৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

শরীয়তপুরে নেশার টাকা জোগাতে নিজের দেড় মাসের শিশুকে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে মা-বাবার বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে শরীয়তপুর সদর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড চরপালং গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শিশুটির বাবা ইব্রাহীম খলিল শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ফতেজঙ্গপুর গ্রামের বাসিন্দা শওকত হাওলাদারের ছেলে। পরিবার নিয়ে শহরের চরপালং এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, ইব্রাহীম মাদক বিক্রি ও সেবনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এতে পরিবারে দেনা হয়। সেই দেনা পরিশোধে তিনি ছেলেকে প্রতিবেশী ইকবাল হোসেন ও তার স্ত্রী মুক্তা আক্তারের কাছে ৩১ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় একজন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে ফোন করেন। এরপর পালং মডেল থানার পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় রাতে শিশুটিকে উদ্ধার করে। আটক করা হয় ইব্রাহীম ও তার স্ত্রী শ্রাবণীকে। শিশুটির দাদা শওকত হাওলাদার ও দাদি ঝরনা বেগম থানায় গিয়ে মুচলেকা দিয়ে ইব্রাহীম ও শ্রাবণীকে ছাড়িয়ে নেন।

ইব্রাহিমের মা ঝরনা বেগম বলেন, আমি যখন শুনতে পাই আমার নাতিকে বিক্রি করেছে, তখন বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে আমার নাতিকে আমি নিয়ে এসেছি।

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঝরনা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে ইব্রাহিম খলিল ও শ্রাবণী বেগমকে আটকের পর শিশুটিকে উদ্ধার করে তার দাদি ঝরনা বেগমের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে ঝরনা বেগম অভিযোগ তুলে নিলে মুচলেকা নিয়ে ইব্রাহিম ও শ্রাবণীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।