ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দেয়ালে শিশুর আঁকা মুছার ৪টি সহজ এবং কার্যকর উপায় স্পাউস ভিসার মাধ্যমে নারীদের সঙ্গে ভয়াবহ প্রতারণা সাংবাদিককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দিলেন শ্রমিকলীগ নেতা কিস্তির টাকা তুলে ইজিবাইক কিনে শেষ সম্বল ইজিবাইক হারিয়ে আজ নিঃস্ব হান্নান বিশ্বাস সেলেনার স্বামী বেনি ব্ল্যাঙ্কোর বাড়িতে ডলার ভর্তি ব্যাগ, পাউরুটির চেয়ার ও গোপন সিঁড়ি ছাড়াও আরও কী আছে? কঙ্গনা বললেন, রাজনীতি হলো সবচেয়ে কম বেতনের চাকরি বিকাশ, নগদ ও রকেটে টাকা পাঠানোর ফি কত? পণ্য পরিবহনে নতুন করে আদায় হচ্ছে অতিরিক্ত বন্দর ফি মাত্র ৩০০ টাকায় দেখা যাবে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ পরবর্তী সিরিজে ভালো করার উপায় খুঁজছেন মিরাজ

যশোরে আ.লীগের তিন নেতা ও ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

  • sharmin sanjida
  • আপডেট সময় : ০১:৫২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগের তিন নেতাসহ ১২ পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদার দাবিতে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে যশোরের একটি আদালতে নালিশি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারী যশোরের শার্শা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল মিন্টু।

 

সোমবার (৬ অক্টোবর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি।

 

আদালতের বিচারক জাকিয়া সুলতানা বিষয়টি তদন্ত করে সিআইডি পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

 

বাদীর আইনজীবী দেবাশীষ দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল মিন্টু যশোরের শার্শা উপজেলার শ্যামলাগাছি গ্রামের বাসিন্দা। ২০০৮ সালের ১৬ জুন রাত ৮টার দিকে শ্যামলাগাছি গ্রামে চাচা আব্দুল মালেকের বাড়ি থেকে শার্শা থানার তৎকালীন এসআই আব্দুস সালাম, এসআই রকিবুজ্জামান, এসআই ইকবাল আহমেদ এবং তৎকালীন শার্শা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কবিরউদ্দিন তোতা, রফিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম, শার্শা থানার ওসি তাকে সালাম দিয়েছেন বলে থানায় নিয়ে যান। থানায় নেওয়ার পরপরই তার হাত-পা বেঁধে আসামিরা মারতে শুরু করেন। মারধরের একপর্যায়ে আসামি এসএম বদরুল আলম ও রকিবুজ্জামান তার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে ‘ক্রসফায়ারে’ দেওয়ার হুমকি দেন।

 

ওই সময় স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আনার জন্য তাকে বেদম মারপিট করা হয়। এরই মধ্যে ওসি তার দুই চোখ বেঁধে এবং দুই হাত পেছনে নিয়ে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেন এবং পায়ের পাতা থেকে হাঁটু পর্যন্ত পানির বোতল, রুল ও আগ্নেয়াস্ত্রের কাঠের বাট দিয়ে বেদম মারপিট করেন।

 

এজাহারে বলা হয়েছে- খবর পেয়ে বাদীর চাচাতো ভাই আব্দুস সালাম ৫ লাখ টাকা এনে ওসিকে দেন; কিন্তু বাকি টাকার জন্য তাকে ছেড়ে না দিয়ে আওয়ামী লীগের ওই তিন নেতার সরবরাহকৃত একটি শার্টার গান ও দুই রাউন্ড রাইফেলের গুলি দিয়ে আদালতে চালান দেওয়া হয়।

 

এ মারধরের কারণে অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল মিন্টুকে দেশের ভেতরে ছাড়াও ভারতে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। সন্তানের এ অবস্থা দেখে তার মা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মার যান।

 

অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল মিন্টু জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহণ, এলাকাছাড়া এবং দেশের পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় মামলা করতে তার দেরি হয়েছে।

 

মামলার আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা কবিরউদ্দিন তোতা, রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, শার্শা থানার সাবেক ওসি বদরুল আলম, সাবেক এসআই আব্দুস সালাম, সাবেক এসআই রকিবুজ্জামান, সাবেক এসআই ইকবাল আহমেদ, সাবেক এএসআই আজাদ হাওলাদার, কনস্টেবল সুলতান আলম, কনস্টেবল এরশাদুল হক, কনস্টেবল আবুল কালাম ও কনস্টেবল রিয়াজুল ইসলামসহ অজ্ঞাত ২-৩ জন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেয়ালে শিশুর আঁকা মুছার ৪টি সহজ এবং কার্যকর উপায়

যশোরে আ.লীগের তিন নেতা ও ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ০১:৫২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

আওয়ামী লীগের তিন নেতাসহ ১২ পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদার দাবিতে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে যশোরের একটি আদালতে নালিশি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারী যশোরের শার্শা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল মিন্টু।

 

সোমবার (৬ অক্টোবর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি।

 

আদালতের বিচারক জাকিয়া সুলতানা বিষয়টি তদন্ত করে সিআইডি পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

 

বাদীর আইনজীবী দেবাশীষ দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল মিন্টু যশোরের শার্শা উপজেলার শ্যামলাগাছি গ্রামের বাসিন্দা। ২০০৮ সালের ১৬ জুন রাত ৮টার দিকে শ্যামলাগাছি গ্রামে চাচা আব্দুল মালেকের বাড়ি থেকে শার্শা থানার তৎকালীন এসআই আব্দুস সালাম, এসআই রকিবুজ্জামান, এসআই ইকবাল আহমেদ এবং তৎকালীন শার্শা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কবিরউদ্দিন তোতা, রফিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম, শার্শা থানার ওসি তাকে সালাম দিয়েছেন বলে থানায় নিয়ে যান। থানায় নেওয়ার পরপরই তার হাত-পা বেঁধে আসামিরা মারতে শুরু করেন। মারধরের একপর্যায়ে আসামি এসএম বদরুল আলম ও রকিবুজ্জামান তার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে ‘ক্রসফায়ারে’ দেওয়ার হুমকি দেন।

 

ওই সময় স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আনার জন্য তাকে বেদম মারপিট করা হয়। এরই মধ্যে ওসি তার দুই চোখ বেঁধে এবং দুই হাত পেছনে নিয়ে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেন এবং পায়ের পাতা থেকে হাঁটু পর্যন্ত পানির বোতল, রুল ও আগ্নেয়াস্ত্রের কাঠের বাট দিয়ে বেদম মারপিট করেন।

 

এজাহারে বলা হয়েছে- খবর পেয়ে বাদীর চাচাতো ভাই আব্দুস সালাম ৫ লাখ টাকা এনে ওসিকে দেন; কিন্তু বাকি টাকার জন্য তাকে ছেড়ে না দিয়ে আওয়ামী লীগের ওই তিন নেতার সরবরাহকৃত একটি শার্টার গান ও দুই রাউন্ড রাইফেলের গুলি দিয়ে আদালতে চালান দেওয়া হয়।

 

এ মারধরের কারণে অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল মিন্টুকে দেশের ভেতরে ছাড়াও ভারতে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। সন্তানের এ অবস্থা দেখে তার মা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মার যান।

 

অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল মিন্টু জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহণ, এলাকাছাড়া এবং দেশের পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় মামলা করতে তার দেরি হয়েছে।

 

মামলার আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা কবিরউদ্দিন তোতা, রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, শার্শা থানার সাবেক ওসি বদরুল আলম, সাবেক এসআই আব্দুস সালাম, সাবেক এসআই রকিবুজ্জামান, সাবেক এসআই ইকবাল আহমেদ, সাবেক এএসআই আজাদ হাওলাদার, কনস্টেবল সুলতান আলম, কনস্টেবল এরশাদুল হক, কনস্টেবল আবুল কালাম ও কনস্টেবল রিয়াজুল ইসলামসহ অজ্ঞাত ২-৩ জন।