ঢাকা ০৬:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক শিক্ষককে আদালতে তোলার সময় গণধোলাই

  • meghla
  • আপডেট সময় : ০২:৫২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া স্কুল শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিককে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত। রবিবার সকালে অভিযুক্ত শিক্ষককে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এর আগে, আদালতে তোলার সময় ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত আসামি মানিককে দেখেই উৎসুত জনতা গণধোলাই দেয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অন্যদিকে, অভিযুক্ত ধর্ষকের সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে ছাত্রজনতার ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

এসময় তারা দাবি তুলেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করেন।

তাদের শান্ত করতে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা শিক্ষার্থীদের আশস্ত করে জানান, কোনোভাবেই যেন অপরাধী আইনের ফাঁক দিয়ে বের না হতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে। প্রমাণিত হলে অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে অপরাধীর।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদি হয়ে ঘটনার দিন রাতেই সদরের ভুল্লী থানায় শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিকের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সত্ত্বেও ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিক স্কুলের বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়ান। প্রতিদিনের মতো প্রাইভেটে যায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। এ সময় সুযোগ বুঝে একটি কক্ষে নিয়ে পাশবিক নির্যাতনের পর ধর্ষণ করে পালিয়ে যান শিক্ষক।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক শিক্ষককে আদালতে তোলার সময় গণধোলাই

আপডেট সময় : ০২:৫২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া স্কুল শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিককে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত। রবিবার সকালে অভিযুক্ত শিক্ষককে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এর আগে, আদালতে তোলার সময় ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত আসামি মানিককে দেখেই উৎসুত জনতা গণধোলাই দেয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অন্যদিকে, অভিযুক্ত ধর্ষকের সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে ছাত্রজনতার ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

এসময় তারা দাবি তুলেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করেন।

তাদের শান্ত করতে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা শিক্ষার্থীদের আশস্ত করে জানান, কোনোভাবেই যেন অপরাধী আইনের ফাঁক দিয়ে বের না হতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে। প্রমাণিত হলে অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে অপরাধীর।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদি হয়ে ঘটনার দিন রাতেই সদরের ভুল্লী থানায় শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিকের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সত্ত্বেও ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিক স্কুলের বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়ান। প্রতিদিনের মতো প্রাইভেটে যায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। এ সময় সুযোগ বুঝে একটি কক্ষে নিয়ে পাশবিক নির্যাতনের পর ধর্ষণ করে পালিয়ে যান শিক্ষক।