গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় ১৭১ জনের নাম উল্লেখ ও ৩০০ – ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত করে মোট ৫২১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ।
আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে টুঙ্গিপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক রাব্বি মোরসালীন বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।
এঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল রোববার (২ ফেব্রæয়ারী) সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার বঙ্গবন্ধু সমাধির পাশে খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল এ্যন্ড কলেজের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় টুঙ্গিপাড়া থানার ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
জানাগেছে, রবিবার সন্ধ্যায় খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল এ্যন্ড কলেজের সামনের আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লিফলেট বিতরণ করা বন্ধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বাকবিতন্ডা হয়। এসময় পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় মুদি দোকানদার কাজী সাফায়েত হোসেনকে আটক করে। সাফায়েতকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গাড়ি ভাংচুর ও পুলিশের উপর হামলা চালায়।
পুলিশের উপর হামলার খবর পেয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোরশেদ আলমসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে তারাও তোপের মুখে পরে।
এরপর ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মঈনুল হোসেন পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তা দিতে বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া যান নিয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার সামনে সারারাত অবস্থান করে সেনাবাহিনী। এছাড়াও টুঙ্গিপাড়া থানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) খোরশেদ আলম বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় থানার এসআই রাব্বি মোরসালিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। এতে ১৭১ জনের নাম উল্লেখ ও ৩০০ – ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত করে মোট ৫২১ জনকে আসামি করা হয়েছে।