দেশের প্রথম সেনাপ্রধান ও মুক্তিযুদ্ধে ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) কেএম সফিউল্লাহ (বীর উত্তম) আর নেই। রবিবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তাঁর মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান ও পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেনারেল সফিউল্লাহর ভাতিজা কেএম রহমত উল্লাহ জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) কেএম সফিউল্লাহ (বীর উত্তম) মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি দেশের প্রথম সেনাপ্রধান ও মুক্তিযুদ্ধকালীন ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন।
রূপগঞ্জের কাজী আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রবিবার বাদ জোহর জানাজা নামাজ শেষে বনানীস্থ সেনাবাহিনী কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। এর আগে জানাজা নামাজে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, পূর্বাচল সার্কেলের এসিল্যান্ড উবায়দুর রহমান সাহেল, রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক বাছির উদ্দিন বাচ্চু, রূপগঞ্জ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবু হোসেন ভুঁইয়া রানু, জেনারেল সফিউল্লাহর ছেলে কেএম ওয়াকুজ্জামান প্রমুখ।
মেজর জেনারেল (অব.) কেএম সফিউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ২ জানুয়ারি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। রবিবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ নবগ্রামে ১৯৩৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর কেএম সফিউল্লাহ জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। ১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত তিনি সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ১৬ বছর তিনি বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। এর মধ্যে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন ও ইংল্যান্ড রয়েছে। ১৯৯১ সালে দেশে ফেরার পর তাকে এক বছরের জন্য অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) হিসেবে রাখা হয়। পরের বছর তিনি স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।