ঢাকা ০৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নতুন দামে আজ থেকে স্বর্ণ বিক্রয় শুরু, ভরির মূল্য কত? সন্ধ্যায় দলীয় বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধান উপদেষ্টা ‘রেভ্যুলেশন ফর স্টেট অব হিউম্যানিটি’ প্যানেল অনিয়মের অভিযোগে ভোট থেকে দূরে ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় স্বল্প সময়ে প্রস্তুতির সেরা টিপস দেয়ালে শিশুর আঁকা মুছার ৪টি সহজ এবং কার্যকর উপায় স্পাউস ভিসার মাধ্যমে নারীদের সঙ্গে ভয়াবহ প্রতারণা সাংবাদিককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দিলেন শ্রমিকলীগ নেতা কিস্তির টাকা তুলে ইজিবাইক কিনে শেষ সম্বল ইজিবাইক হারিয়ে আজ নিঃস্ব হান্নান বিশ্বাস সেলেনার স্বামী বেনি ব্ল্যাঙ্কোর বাড়িতে ডলার ভর্তি ব্যাগ, পাউরুটির চেয়ার ও গোপন সিঁড়ি ছাড়াও আরও কী আছে? কঙ্গনা বললেন, রাজনীতি হলো সবচেয়ে কম বেতনের চাকরি

গাজায় যুদ্ধ করতে চায় না অনেক ইসরায়েলি সেনা

  • Mst Sweety
  • আপডেট সময় : ০৬:৫২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা ইয়োতাম ভিল্ক বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সৈন্যদের নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি কিশোরকে হত্যার চিত্র তার মনে দাগ কেটে গেছে।

আর্মার্ড কোরে কাজ করা কর্মকর্তা ভিল্ক বলেছেন, গাজার ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রিত বাফার জোনে প্রবেশকারী যেকোনো অননুমোদিত ব্যক্তিকে গুলি করার নির্দেশ ছিল। তিনি বলেন, তিনি কমপক্ষে ১২ জনকে হত্যা করতে দেখেছেন কিন্তু কিশোরের গুলি চালানোর ঘটনাটি তিনি মানতে পারছেন না।

২৮ বছর বয়সী ভিল্ক এপিকে বলেছেন, “একটি বৃহত্তর ঘটনার অংশ হিসেবে তার মৃত্যু হয়েছে। সেখানে থাকার এবং ফিলিস্তিনিদের মানুষ হিসেবে না দেখার নীতির অংশ হিসেবেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।”

১৫ মাসের সংঘাতের বিরুদ্ধে কথা বলছেন ইসরায়েলি অনেক সেনা। তাদের অনেকেই আর গাজায় যুদ্ধ করতে চাইছেন না। ভিল্কও আছেন তাদের দলে। তিনি বলেছেন, তারা এমন কিছু দেখেছেন বা করেছেন যা নীতিগত সীমা অতিক্রম করে।

যদিও আন্দোলনটি ছোট। প্রায় ২০০ ইসরায়েলি সেনা একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। সেখানে সরকার যদি যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত না করে তবে যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন তারা এমন হুঁশিয়ারিই দিয়েছেন।

তাদের এই অস্বীকৃতি এমন এক সময়ে এসেছে যখন ইসরায়েল এবং হামাসের ওপর যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চাপ বাড়ছে। যুদ্ধবিরতি আলোচনা চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নব নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয়ই ২০ জানুয়ারির শপথ গ্রহণের আগেই একটি চুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানানো সাতজন সেনা এপির সাথে কথা বলেছেন। তারা বর্ণনা করেছেন যে কীভাবে ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে এবং ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। অনেকেই বলেছেন যে তাদের কোনও হুমকি না থাকা বাড়িঘরগুলোও পুড়িয়ে বা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারা সৈন্যদেরকে লুটপাট এবং ভাঙচুর করতে দেখেছেন।

সৈন্যদের রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে হবে এবং তারা খুব কমই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ করার পর ইসরায়েল গাজায় হামলা শুরু করে।  যুদ্ধ এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে এখানে বিভাজন বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে বেশিরভাগ সমালোচনা গাজায় পদক্ষেপ নয়, বরং নিহত সৈন্যের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা এবং জিম্মিদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন দামে আজ থেকে স্বর্ণ বিক্রয় শুরু, ভরির মূল্য কত?

গাজায় যুদ্ধ করতে চায় না অনেক ইসরায়েলি সেনা

আপডেট সময় : ০৬:৫২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা ইয়োতাম ভিল্ক বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সৈন্যদের নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি কিশোরকে হত্যার চিত্র তার মনে দাগ কেটে গেছে।

আর্মার্ড কোরে কাজ করা কর্মকর্তা ভিল্ক বলেছেন, গাজার ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রিত বাফার জোনে প্রবেশকারী যেকোনো অননুমোদিত ব্যক্তিকে গুলি করার নির্দেশ ছিল। তিনি বলেন, তিনি কমপক্ষে ১২ জনকে হত্যা করতে দেখেছেন কিন্তু কিশোরের গুলি চালানোর ঘটনাটি তিনি মানতে পারছেন না।

২৮ বছর বয়সী ভিল্ক এপিকে বলেছেন, “একটি বৃহত্তর ঘটনার অংশ হিসেবে তার মৃত্যু হয়েছে। সেখানে থাকার এবং ফিলিস্তিনিদের মানুষ হিসেবে না দেখার নীতির অংশ হিসেবেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।”

১৫ মাসের সংঘাতের বিরুদ্ধে কথা বলছেন ইসরায়েলি অনেক সেনা। তাদের অনেকেই আর গাজায় যুদ্ধ করতে চাইছেন না। ভিল্কও আছেন তাদের দলে। তিনি বলেছেন, তারা এমন কিছু দেখেছেন বা করেছেন যা নীতিগত সীমা অতিক্রম করে।

যদিও আন্দোলনটি ছোট। প্রায় ২০০ ইসরায়েলি সেনা একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। সেখানে সরকার যদি যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত না করে তবে যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন তারা এমন হুঁশিয়ারিই দিয়েছেন।

তাদের এই অস্বীকৃতি এমন এক সময়ে এসেছে যখন ইসরায়েল এবং হামাসের ওপর যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চাপ বাড়ছে। যুদ্ধবিরতি আলোচনা চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নব নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয়ই ২০ জানুয়ারির শপথ গ্রহণের আগেই একটি চুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানানো সাতজন সেনা এপির সাথে কথা বলেছেন। তারা বর্ণনা করেছেন যে কীভাবে ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে এবং ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। অনেকেই বলেছেন যে তাদের কোনও হুমকি না থাকা বাড়িঘরগুলোও পুড়িয়ে বা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারা সৈন্যদেরকে লুটপাট এবং ভাঙচুর করতে দেখেছেন।

সৈন্যদের রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে হবে এবং তারা খুব কমই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ করার পর ইসরায়েল গাজায় হামলা শুরু করে।  যুদ্ধ এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে এখানে বিভাজন বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে বেশিরভাগ সমালোচনা গাজায় পদক্ষেপ নয়, বরং নিহত সৈন্যের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা এবং জিম্মিদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে।