এর আগে বৃহস্পতিবার সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার মিনাটিলা সীমান্তে খাসিয়াদের গুলিতে মারুফ আহমদ নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
মারুফ ওই উপজেলার কেন্দ্রী ঝিঙাবাড়ি গ্রামের সাহাবুদ্দিন ছেলে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে এ নিয়ে দুইজনের মৃত্যু হল।
শুক্রবার নিহত ২২ বছর বয়সী সবুজ মিয়া গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি ইউনিয়নের ভীতরগুল সীমান্তবর্তী পাহাড়তলী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, সে ভারতীয় গরু চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিল।
বিজিবি বলছে, ভীতরগুল গ্রামের সবুজসহ আরও কয়েকজন ভারতের ভেতরে খাসিয়াদের এলাকায় প্রবেশ করে। সেখানে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে ভারতীয় খাসিয়া নাগরিক গাঁদা বন্দুক দিয়ে ছররা গুলি করে। এতে সবুজ গুলিবিদ্ধ হয়। পরে গোয়েন্দা তথ্যে বিজিবি টহলদল দ্রুত দমদমীয়া সীমান্তের ১২৬১ পিলার এলাকায় যায়।
কিছুক্ষণ পর সবুজ মিয়ার পরিবারের সদস্যরা বিজিবি টহলদলকে জানায় যে, সবুজকে বিকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে রাতে জানা যায় যে, জংগল এলাকা দিয়ে সবুজের সহযোগীরা তাকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে। তার পরিবারও মরদেহ পাওয়ার বিষয়টি বিজিবিকে জানায়। একই সঙ্গে তারা বিষয়টি পুলিশকেও জানায়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল রহমান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, “এ ঘটনায় বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে কথা বলে প্রতিবাদ লিপি দেয়ার পাশাপাশি ভারতীয় নাগরিককে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য বলা হয়েছে।”
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ বলেন, খাসিয়ার গুলিতে নিহত সবুজ মিয়ার পিতা আবুল হোসেন থানায় এসে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। মরদেহটি ভারতের ভেতরে থাকায় পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি।