জামালপুরে বেসরকারি এম এ রশিদ হাসপাতালে আগ্নেয়াস্ত্রসহ হামলা-ভাঙচুর ও বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ফাঁকা গুলিবর্ষণের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার জানান, গত ২৮ নভেম্বর মধ্য রাতে শহরের সরদারপাড়া এলাকায় বেসরকারি এম এ রশিদ হাসপাতালের সামনে রাস্তা পারাপার নিয়ে ওই হাসপাতালের কর্মকর্তা সিব্বির ও শাহীনের সাথে শহরের স্টেশন রোড এলাকার এম শুভ পাঠানের তর্ক-বিতর্ক হয়। এর জেরে এক পর্যায়ে ওই রাতেই এম শুভ পাঠান ও তার সহযোগীরা এম এ রশিদ হাসপাতালে আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মারধর করে। এরপর স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা, অস্ত্র প্রদর্শন ও ফাঁকা গুলি করে। এ ছাড়াও শহরের চালাপাড়া এলাকায় শাহীনের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে। এ ঘটনায় সিব্বির ও শাহীন জামালপুর সদর থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ রবিবার গভীর রাতে রাজধানী ঢাকার গুলশান এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে স্টেশন রোড এলাকার মৃত ওবায়দুল হাসান টিপুর ছেলে এম শুভ পাঠান (৩৪), বসাকপাড়া এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে মো. রিপন হোসেন হৃদয় (২৫), চালাপাড়া এলাকার মো. মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মাসুম মিয়া (৩৩), মো. রাজু (২৫) ও সন্দেহভাজন ছনকান্দা এলাকার মো. নাসিরের ছেলে ঝুটন মিয়াকে (৩৩) গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে ঘটনার দিন তারা খেলনা পিস্তল প্রদর্শন করেছে। তবে এটি আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। অস্ত্রের সন্ধানে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে এবং ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।