ঢাকা ০৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতারক মান্নান ও ওরফে ডিসির সিও মানিকের খপ্পরে পড়ে অসহায় সেলিনা পারভীন আজ সর্বহারা!

জানা যায়, এই সেলিনা পারভীনের স্বামী ছিলেন সরকারি প্রাইমারি স্কুলের একজন শিক্ষক। কিন্তু সেলিনা পারভীনের স্বামী চাকরিরত অবস্থায় ব্রেন স্টক করে মারা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় তার স্বামীর এককালীন ভাতার টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই প্রতারক ডিসির সিও মান্নান ওরুফে মানিকের সাথে দেখা হয় তারই সূত্র ধরে, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের এই কর্মকর্তা প্রতারক মান্নানের সাথে সম্পর্কের সূত্রপাত ঘটে । এভাবেই কেটে যায় বেশকিছু দিন। এবার প্রতারক মান্নানের মূল লক্ষ্য ছিল অসহায় সেলিনা পারভীনকে স্বামীর ওই পেনশনের টাকা আর সেলিনার উপর কুদৃষ্টি কিন্তু সেলিনা সেটা বুঝতে পারে নাই। মান্নানের মূল উদ্দেশ্য ছিল সেলিনার ব্যবহারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওই পেনশনের টাকা আত্মসাৎ করা । তেমনি ভাবে অসহায় সেলিনা পারভীনের ছেলেকে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রথম পর্যায়ে ১২লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এই প্রতারক মান্নান অরফে মানিক ও সেলিনার এবাবেই ভাব ভালোবাসা সম্পর্ক চলতে থাকে বেশকিছুদিন ধরে। এভাবেই অসহায় সেলিনা পারভীনকে ঐ প্রতারক মান্নান বিভিন্ন ভাবে সরলতার সুযোগ নিয়ে ব্যবহার করতে থাকে। পরবর্তীতে মান্নান বিষয়টি সমাজের মানুষের চোখ আড়াল করার জন্য তাদের দুজনের মধ্যবর্তী সম্পর্ক লুকিয়ে রাখার জন্য ভুয়া একটি কাবিননামা তৈরি করে। শুধু এতেই তিনি ক্ষান্ত না এই প্রতারক মান্নান পরবর্তীতে সেলিনা পারভীনের নামে চিটাগাং জেলায় ভুয়া ওয়ারেন্ট ও বের করে এবং তিনি গ্রেফতারেরও স্কীকার হন। কখনো ভুয়া ওয়ারেন্ট কখন বা ভুয়া কাবিননামা কখনও বা হুমকি। সারা বাংলাদেশের যে কয়টা কোর্ট আছে সে কইটাতেই কোর্টেই মামলা দিয়ে জেল খাটাবেন প্রতারক মান্নান। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি। এভাবেই বিভিন্ন চক্রান্তের জালে আটকে পড়েন এই সেলিনা পারভীন। এভাবেই লক্ষ্য অনুসারে প্রতারক মান্নান সেলিনা পারভীনের কাছ থেকে বিভিন্ন কলাকৌশলের মাধ্যমে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধীরে ধীরে ২৫-২৬ লক্ষ টাকা সর্বাস্বা লুটে নেয় এই সিও মান্নান ওরফে মানিক। প্রতারক মান্নান তার নিজের এই অপকর্মকগুলো ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মিডিয়ার পিছনেও প্রচুর অর্থ ব্যয় করে । এভাবেই সিও প্রতারক মান্নানের চক্রান্ত ধীরে ধীরে বুঝতে পেয়ে, সেলিনা পারভীন ঝিনাইদহে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ভুক্তভোগী, অসহায় সেলিনা পারভীন আজ সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে এই প্রতারক মান্নান ওরফে মানিকের সঠিক বিচারের দাবি জানায় এবং তিনি বলেন এই প্রতারক মান্নানের সঠিক বিচার হলে যেন আমার মতো আর কোনো ব্যক্তি এরকম চক্রান্তের স্বীকার না হয়।

এ অভিযোগের বিষয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, বিগত দিনে যাই ঘটেছে এর জন্য আমি খুবই অনুতপ্ত। আমি ভুল করেছি আগামীতে আর এমন ভুল হবে না।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে জানান, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তিনি কয়েকদিন আগে এখানে যোগদান করেছেন তিনি। এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রতারক মান্নান ও ওরফে ডিসির সিও মানিকের খপ্পরে পড়ে অসহায় সেলিনা পারভীন আজ সর্বহারা!

আপডেট সময় : ১০:৩৪:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

জানা যায়, এই সেলিনা পারভীনের স্বামী ছিলেন সরকারি প্রাইমারি স্কুলের একজন শিক্ষক। কিন্তু সেলিনা পারভীনের স্বামী চাকরিরত অবস্থায় ব্রেন স্টক করে মারা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় তার স্বামীর এককালীন ভাতার টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই প্রতারক ডিসির সিও মান্নান ওরুফে মানিকের সাথে দেখা হয় তারই সূত্র ধরে, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের এই কর্মকর্তা প্রতারক মান্নানের সাথে সম্পর্কের সূত্রপাত ঘটে । এভাবেই কেটে যায় বেশকিছু দিন। এবার প্রতারক মান্নানের মূল লক্ষ্য ছিল অসহায় সেলিনা পারভীনকে স্বামীর ওই পেনশনের টাকা আর সেলিনার উপর কুদৃষ্টি কিন্তু সেলিনা সেটা বুঝতে পারে নাই। মান্নানের মূল উদ্দেশ্য ছিল সেলিনার ব্যবহারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওই পেনশনের টাকা আত্মসাৎ করা । তেমনি ভাবে অসহায় সেলিনা পারভীনের ছেলেকে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রথম পর্যায়ে ১২লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এই প্রতারক মান্নান অরফে মানিক ও সেলিনার এবাবেই ভাব ভালোবাসা সম্পর্ক চলতে থাকে বেশকিছুদিন ধরে। এভাবেই অসহায় সেলিনা পারভীনকে ঐ প্রতারক মান্নান বিভিন্ন ভাবে সরলতার সুযোগ নিয়ে ব্যবহার করতে থাকে। পরবর্তীতে মান্নান বিষয়টি সমাজের মানুষের চোখ আড়াল করার জন্য তাদের দুজনের মধ্যবর্তী সম্পর্ক লুকিয়ে রাখার জন্য ভুয়া একটি কাবিননামা তৈরি করে। শুধু এতেই তিনি ক্ষান্ত না এই প্রতারক মান্নান পরবর্তীতে সেলিনা পারভীনের নামে চিটাগাং জেলায় ভুয়া ওয়ারেন্ট ও বের করে এবং তিনি গ্রেফতারেরও স্কীকার হন। কখনো ভুয়া ওয়ারেন্ট কখন বা ভুয়া কাবিননামা কখনও বা হুমকি। সারা বাংলাদেশের যে কয়টা কোর্ট আছে সে কইটাতেই কোর্টেই মামলা দিয়ে জেল খাটাবেন প্রতারক মান্নান। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি। এভাবেই বিভিন্ন চক্রান্তের জালে আটকে পড়েন এই সেলিনা পারভীন। এভাবেই লক্ষ্য অনুসারে প্রতারক মান্নান সেলিনা পারভীনের কাছ থেকে বিভিন্ন কলাকৌশলের মাধ্যমে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধীরে ধীরে ২৫-২৬ লক্ষ টাকা সর্বাস্বা লুটে নেয় এই সিও মান্নান ওরফে মানিক। প্রতারক মান্নান তার নিজের এই অপকর্মকগুলো ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মিডিয়ার পিছনেও প্রচুর অর্থ ব্যয় করে । এভাবেই সিও প্রতারক মান্নানের চক্রান্ত ধীরে ধীরে বুঝতে পেয়ে, সেলিনা পারভীন ঝিনাইদহে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ভুক্তভোগী, অসহায় সেলিনা পারভীন আজ সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে এই প্রতারক মান্নান ওরফে মানিকের সঠিক বিচারের দাবি জানায় এবং তিনি বলেন এই প্রতারক মান্নানের সঠিক বিচার হলে যেন আমার মতো আর কোনো ব্যক্তি এরকম চক্রান্তের স্বীকার না হয়।

এ অভিযোগের বিষয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, বিগত দিনে যাই ঘটেছে এর জন্য আমি খুবই অনুতপ্ত। আমি ভুল করেছি আগামীতে আর এমন ভুল হবে না।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে জানান, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তিনি কয়েকদিন আগে এখানে যোগদান করেছেন তিনি। এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’