মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের রামরি শহরে এক হাসপাতালে শক্তিশালী বোমা হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী। এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
সশস্ত্র বিদ্রোহীদের তুমুল প্রতিরোধের মুখে পিছু হটছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তিন বছরের ক্ষমতায় এই মুহূর্তে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি পার করছে তারা। গত অক্টোবরে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে সামরিক টহল চৌকি, অস্ত্রাগার ও বেশ কিছু শহরের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে বিদ্রোহীদের হাতে। সবশেষ ঘুমধুম সীমান্তে বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে মিয়ানমারের শতাধিক সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে, যাদের অনেকেই আহত।
ইরাবতী জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে জান্তা বাহিনীর বোমা হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় একটি হাসপাতাল ও বাজার। বেশ কয়েকটি বেসামরিক বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরাকান আর্মি জানায়, ৫০০ পাউন্ডের একটি বিশাল বোমা নিক্ষেপ করেছে জান্তা বাহিনী। অন্য যেকোনো বোমার চেয়ে এটি অনেক বেশি বিধ্বংসী।
আরাকান আর্মি আরও বলেছে, বিকেলে জান্তা বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় এই প্রদেশের শহর এবং এর আশপাশের অঞ্চলগুলোতে আরও শক্তিশালী বোমা ফেলতে শুরু করে।
এ ছাড়া পোন্নাগিউন শহরের একটি সম্পূর্ণ আবাসিক ওয়ার্ড গত মঙ্গলবার ধ্বংস করে দেয় নিকটবর্তী পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থানরত শাসকগোষ্ঠীর সেনারা।