আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে বগুড়া সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। আটজনকে আসামি করা হয় এ মামলায়।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে বগুড়া সদর থানায় হিরো আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
আসামিরা হলেন- নন্দীগ্রাম উপজেলার মামুন আহম্মেদ, শাজাহানপুরের রনি, সদর উপজেলার ফাঁপোড় এলাকার শামীম, গাবতলীর নাজমুল ওরফে সবুজ, সদরের উলিপুরের নুরুল ইসলাম, কুকরুল এলাকার সবুজ, উজ্জল এবং জাহাঙ্গীর।বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় হিরো আলম উল্লেখ করেন, উল্লিখিত আসামিরা হিরো আলমকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে হত্যার উদ্দেশে হামলাসহ বেধড়ক মারধর করেন।
মামলার পর হিরো আলম তার এরুলিয়ার নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, আদালত চত্বরে আমার ওপর হামলার ঘটনায় আমি সদর থানায় আটজনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা করেছি। এদের মধ্যে নুরুল আওয়ামী লীগ করে আর বাকি সবাই বিএনপির সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, আমি হয়তো আর বেশিদিন বাঁচব না। আমাকে এ ঘটনার পর থেকেই নানা জায়গা থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা হয়তো আমাকে মেরে ফেলবে নয়তো জেলের ভেতরে রাখবে। তবে আমি হিরো আলম কখনই অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না।
এর আগে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়া আদালত চত্বরে হামলার শিকার হন হিরো আলম। এ সময় তাকে কান ধরে উঠবস করানোসহ বেধড়ক মারধর করা হয়। এ ঘটনায় তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের দায়ী করেন।
পরে বিএনপির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলমের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। পরেরদিন আবারও হিরো আলম সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। শজিমেক হাসপাতালে করা ওই সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম তার হামলার জন্য বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগকেও দায়ী করেন।