এ প্রসঙ্গে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, যে কোনো বন্দিকে সাময়িকভাবে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া যায়। বহির্জগতের সঙ্গে যাতে তাদের যোগাযোগ বজায় থাকে, পারিবারিক সম্পর্ক যাতে অটুট থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এই প্যারোলে মুক্তির নিয়ম রয়েছে। বন্দি হলেও তিনি কারো না কারো বাবা, স্বামী, ছেলে কিংবা ভাই। প্যারোলে মুক্তিকে বরাবর ‘মানবিক উদ্যোগ’ হিসাবেই দেখা হয়েছে।
আদালত আরও জানিয়েছে, দুঃখের মতো খুশিও একটি আবেগ। কাছের মানুষের মৃত্যু হলে সেই দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার জন্য বন্দিরা প্যারোলে মুক্তি পেয়ে থাকেন। তাই সুখের অনুভূতিও ভাগ করে নেওয়ার জন্য এই সাময়িক মুক্তি তাদের প্রাপ্য। ছেলের সঙ্গে দেখা করার জন্য মামলাকারীকে ১০ দিনের প্যারোল দিয়েছে আদালত।
২০১২ সালের একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত হন শ্রীবাস্তব। ২০১৮ সালে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আপাতত তিনি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। ছেলে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পাওয়ায় এক মাসের জন্য মুক্তি চেয়েছিলেন তিনি। আদালত ১০ দিনের জন্য শর্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তি দিয়েছে।