ভয়ংকর শক্তি সঞ্চয় করে শক্তিশালী ক্যাটাগরি তিন ঝড়ে পরিণত হয়েছে আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট হারিকেন বেরিল। সোমবার দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘান হান্তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।
ঝড়টিকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ঝড়ের কারণে প্রবল বাতাস ও কয়েক ফুট জলোচ্ছ্বাসের কারণে ক্যারিবীয় অঞ্চলে কয়েকটি দ্বীপ সম্প্রদায় ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঝড়ে নয়-ফুট ঢেউ এবং বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। স্থানীয়দের নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার পর্যন্ত হ্যারিকেন বেরিল ক্যাটাগরি চারে পৌঁছালেও এটি সোমবারের প্রথম দিকে, ঝড়টির শক্তি কিছুটা কমে ক্যাটাগরি ৩ এ নেমে আসে। বেরিল এখন পর্যন্ত আটলান্টিক মহাসাগরে রেকর্ড করা প্রথম এবং জুন মাসে রেকর্ড করা একমাত্র ক্যাটাগরি ৪ হারিকেন।
ঝড়টি তার শক্তি আবার ফিরে পেলে এটি ২০০৪ সালে হারিকেন ইভানের পর থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হতে পারে।
ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের মতে, বেরিল সোমবার ভোর পর্যন্ত বার্বাডোসের প্রায় ১১০ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল এবং প্রতি ঘণ্টায় ১২০ মাইল গতিবেগে বাতাস বইছে।
ঘূর্ণিঝড় বেরিল বার্বাডোস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রেনাডাইনস, গ্রেনাডা, মার্টিনিক, টোবাগো ও ডোমিনিকাসহ গোটা ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এরই মধ্যে এসব দেশে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এসব অঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের মাত্রা থেকে ৬-৯ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তীব্র বাতাস, বৃষ্টিপাত ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সতর্কতাও দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বার্বাডোস জুড়ে হারিকেন আশ্রয়কেন্দ্রে ৪০০ জনেরও বেশি লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং গ্রেনাডায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে এসব অঞ্চলের বিমানবন্দরও বন্ধ ঘোষণা করা করেছে কর্তৃপক্ষ। বেরিলের তাণ্ডবের শঙ্কায় ওই অঞ্চলের মানুষ জ্বালানির জন্য হুড়োহুড়ি লাগিয়ে দিয়েছেন। যার ফলে বিশাল লাইনে দেখা গেছে জ্বালানির দোকানের সামনে। একইসঙ্গে দুর্যোগের প্রস্তুতি হিসেবে খাবার ও পানি মজুদের হিড়িক পড়েছে।