রপ্তানিমুখী পণ্য উৎপাদনে স্থানীয় বাজার থেকে যেসব পণ্য ও সেবা কেনা হয়, সেগুলোর ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির সিদ্ধান্ত আছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের। তবে মাঠ পর্যায়ে এ সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে। ভ্যাট অব্যাহতি পেতে রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের হয়রানির মুখে পড়তে হয়। বাড়তি সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হয়। সহজে ভ্যাট অব্যাহতির বিষয়ে একটি স্পষ্টীকরণ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে এনবিআরের পক্ষ থেকে।
গত বৃহস্পতিবার দেওয়া ব্যাখ্যায় বলা হয়, স্থানীয় ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে পণ্য সরবরাহ হতে হবে। রপ্তানিকারকের বন্ডেড ওয়্যারহাউস বা স্পেশাল বন্ডেড ওয়্যারহাউস থাকতে হবে। রপ্তানির পণ্য উৎপাদনে শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানির অনুমতিপত্র থাকলে তা ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশনে (ইউডি) উল্লেখ থাকতে হবে। এ ছাড়া স্থানীয় পণ্য এবং সেবা লেনদেন করতে হবে বিদেশি মুদ্রায়। একটি পোশাক উৎপাদনের বিভিন্ন ধরনের অ্যাকসেসরিজের ব্যবহার থাকে। এ ছাড়া পরিবহনসহ কিছু সেবাও স্থানীয়ভাবে নিতে হয়। এ ধরনের পণ্য ও সেবার মূল্য মোট রপ্তানি মূল্যের অন্তত ১০ শতাংশ।
বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সমকালকে বলেন, ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, যদি কোনো নন-বন্ডেড সরবরাহকারী বা ভ্যাট নিবন্ধিত কোনো বন্ডধারী রপ্তানিমুখী পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত স্থানীয় পণ্য ও সেবা সরবরাহ করে, তাহলে এই লেনদেনকে একটি প্রচ্ছন্ন রপ্তানি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হবে। সে ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকদের এই পণ্য বা পরিষেবার ওপর ভ্যাট দিতে হবে না। তবে ছোটখাটো এসব পণ্য ও সেবা স্থানীয় এলসি এবং বিদেশি মুদ্রায় কেনার শর্তের কারণে কিছু জটিলতা থাকবে।