ঢাকা ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সদরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে টিভিসি ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন মুক্তির আগে ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে ইসরায়েল রাজধানীতে ধানের শীষে ভোট চাইলেন যুবদল নেতা সাজ্জাদুল মিরাজ হল্যান্ড-মেসির গোল উৎসবের রাতে পেনাল্টি মিসে ম্লান রোনালদো ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে যা করতে হবে বাংলাদেশকে ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়িয়েছে ৬ আরব দেশ আফগানিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষে ২৩ সেনা নিহত: পাকিস্তান ঝিনাইদহ সীমান্তে ১৪ জনকে আটক করেছে বিজিবি রাবি ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলার সব আসামি বেকসুর খালাস

সিলেট ও নরসিংদীতে হামলার শিকার পুলিশ, ৮ জন গ্রেপ্তার

  • sharmin sanjida
  • আপডেট সময় : ০৩:২৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

সিলেট মহানগর ও নরসিংদী সদরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ১৮ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট মহানগরীর সুরমা গেট এলাকায় ভিডিও ধারণ নিয়ে দুই পক্ষের মারামারির সময় পুলিশের ওপর হামলা হয়। এতে শাহপরান (রহ.) থানার ওসি মনির হোসেনসহ পাঁচ পুলিশ এবং ১০ জন আহত হন।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, মারামারি থামাতে গিয়ে পুলিশ হামলার শিকার হয়েছেন। আহত পাঁচ পুলিশ সদস্য ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে আটজনকে আটক করা হয়। তিনি জানান, মারামারির ঘটনায় এক ভুক্তভোগী ও পুলিশের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার আদালতের মাধ্যমে আটজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সম্পর্কের সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে প্রেমিক ও প্রেমিকা পালিয়ে যাওয়ার সময় শাহপরান গেটে একটি দোকানের সামনে অভিভাবকরা তাদের আটকে দেন। এ সময় উভয়ের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় দিয়ে ফয়সল কাদির নামে স্থানীয় এক দোকানি মারামারির ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। স্থানীয় দলইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কুটনের নেতৃত্বে লোকজন ফয়সল কাদিরের দোকান ঘেরাও করে তাঁকে মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। জনরোষ থেকে কাদির ও তাঁর ভাইকে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়িতেও হামলা করা হয়।

চাঁদাবাজির সময় আটক ২, হামলা করে নিল ছিনিয়ে
নরসিংদী পৌরসভার আরশীনগর মোড়ে অটোরিকশার চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের সময় শনিবার সকালে দুজনকে আটক করে পুলিশ। পরে হামলা করে পুলিশের কাছ থেকে তাদের ছিনিয়ে নেয় চাঁদা আদায়ে জড়িতরা। হামলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেনসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, লাশ উদ্ধারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সদরের বীরপুর থেকে ফোর্স নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। পথে আরশীনগর মোড়ে কয়েকজন গাড়ি থেকে চাঁদা তুলছিলেন। এ সময় দুজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ৪০-৫০ জন মব করে হামলা চালায়। জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলে লাথি ও কিল-ঘুসি মারা হয়। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে দুই পুলিশ আহত হন।
আনোয়ার হোসেন বলেন, আরশীনগর মোড়ের পাশে সিএনজি স্টেশনের ইজারাদারের লোকজন হামলা করে দুজনকে ছিনিয়ে নিয়েছে।

সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. ফরিদা গুলশানা কবির জানান, পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের আঘাতে ঘাড় ও পায়ে রক্ত জমাট বেঁধে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

নরসিংদীর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ডিডিএলজি) ও ভারপ্রাপ্ত পৌর প্রশাসক মনোয়ার হোসেন জানান, আরশীনগর মোড়ে টোল আদায় বৈধ। পৌরসভা থেকে আলমগীর হোসেন নামে একজনকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার তথ্য পেয়ে ইজারাদারকে কল দিলে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান। তার পরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সদরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

সিলেট ও নরসিংদীতে হামলার শিকার পুলিশ, ৮ জন গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৩:২৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

সিলেট মহানগর ও নরসিংদী সদরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ১৮ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট মহানগরীর সুরমা গেট এলাকায় ভিডিও ধারণ নিয়ে দুই পক্ষের মারামারির সময় পুলিশের ওপর হামলা হয়। এতে শাহপরান (রহ.) থানার ওসি মনির হোসেনসহ পাঁচ পুলিশ এবং ১০ জন আহত হন।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, মারামারি থামাতে গিয়ে পুলিশ হামলার শিকার হয়েছেন। আহত পাঁচ পুলিশ সদস্য ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে আটজনকে আটক করা হয়। তিনি জানান, মারামারির ঘটনায় এক ভুক্তভোগী ও পুলিশের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার আদালতের মাধ্যমে আটজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সম্পর্কের সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে প্রেমিক ও প্রেমিকা পালিয়ে যাওয়ার সময় শাহপরান গেটে একটি দোকানের সামনে অভিভাবকরা তাদের আটকে দেন। এ সময় উভয়ের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় দিয়ে ফয়সল কাদির নামে স্থানীয় এক দোকানি মারামারির ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। স্থানীয় দলইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কুটনের নেতৃত্বে লোকজন ফয়সল কাদিরের দোকান ঘেরাও করে তাঁকে মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। জনরোষ থেকে কাদির ও তাঁর ভাইকে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়িতেও হামলা করা হয়।

চাঁদাবাজির সময় আটক ২, হামলা করে নিল ছিনিয়ে
নরসিংদী পৌরসভার আরশীনগর মোড়ে অটোরিকশার চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের সময় শনিবার সকালে দুজনকে আটক করে পুলিশ। পরে হামলা করে পুলিশের কাছ থেকে তাদের ছিনিয়ে নেয় চাঁদা আদায়ে জড়িতরা। হামলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেনসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, লাশ উদ্ধারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সদরের বীরপুর থেকে ফোর্স নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। পথে আরশীনগর মোড়ে কয়েকজন গাড়ি থেকে চাঁদা তুলছিলেন। এ সময় দুজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ৪০-৫০ জন মব করে হামলা চালায়। জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলে লাথি ও কিল-ঘুসি মারা হয়। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে দুই পুলিশ আহত হন।
আনোয়ার হোসেন বলেন, আরশীনগর মোড়ের পাশে সিএনজি স্টেশনের ইজারাদারের লোকজন হামলা করে দুজনকে ছিনিয়ে নিয়েছে।

সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. ফরিদা গুলশানা কবির জানান, পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের আঘাতে ঘাড় ও পায়ে রক্ত জমাট বেঁধে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

নরসিংদীর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ডিডিএলজি) ও ভারপ্রাপ্ত পৌর প্রশাসক মনোয়ার হোসেন জানান, আরশীনগর মোড়ে টোল আদায় বৈধ। পৌরসভা থেকে আলমগীর হোসেন নামে একজনকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার তথ্য পেয়ে ইজারাদারকে কল দিলে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান। তার পরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।