ঢাকা ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাতে কতবার ঘুম ভাঙা স্বাভাবিক?

  • Musabbir Khan
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৬:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

রাতে কতবার ঘুম ভাঙা স্বাভাবিক?

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের নানা কারণেই রাতে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। কিছু বিষয় ঘুমের পরিবেশের সঙ্গে জড়িত, কিছু আবার স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। রাতে এক থেকে তিনবার আপনার ঘুম ভেঙে যেতে পারে স্বাভাবিকভাবেই। অবশ্য বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমের সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। তখন পাঁচবার পর্যন্ত ঘুম ভেঙে যাওয়াকেও স্বাভাবিক ধরে নেওয়া যেতে পারে। তবে এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও কিছু বিষয়। সেগুলো ঠিক না থাকলে মাত্র একবার ঘুম ভাঙাটাও অস্বাভাবিক হতে পারে।

যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

কিছু সমস্যা দেখা দিলে রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়াটাকে অস্বাভাবিক ধরে নেওয়া হয়:

  • একবার ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর ৩০ মিনিটের মধ্যে আবার ঘুমিয়ে পড়তে না পারা।
  • সকালে ঘুম থেকে ওঠার ৩০ মিনিটের মধ্যে সতেজ হতে না পারা, মাথাব্যথা করা।
  • সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব কিংবা বারবার ঘুমানোর প্রয়োজন অনুভব করা।
  • দিনের বেলা কাজেকর্মে মনোযোগ দিতে না পারা।
  • দিনের অনেকটা সময় তুচ্ছ কারণে মেজাজ বিগড়ে থাকা।

.

ঘুম ভাঙা যখন অস্বাভাবিক

সব দিক বিবেচনায় নিয়ে যদি দেখা যায়, রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়াটা অস্বাভাবিক, তাহলে বের করতে হবে, কী কারণে এটা হচ্ছে।

  • নিজেকে প্রশ্ন করুন, কোনো কিছু নিয়ে মানসিক চাপে আছেন কি না। কারণ, প্রতিযোগিতার এই যুগে বহু মানুষই মানসিক চাপে ভোগেন। আর রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো এই চাপ। তাই সহজভাবে নিন জীবনটাকে। ধ্যান করুন। করুন শরীরচর্চা। শ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। কাছের মানুষদের সময় দিন। বন্ধুদের সঙ্গে মন খুলে আড্ডা দিন। প্রয়োজনে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
  • মুঠোফোনে অতিরিক্ত সময় কাটানো কিংবা উত্তেজনাপূর্ণ কনটেন্ট দেখার কারণেও ঘুম ভেঙে যেতে পারে রাতে। অ্যালকোহল গ্রহণের কারণেও এমন সমস্যা হয়। এ বিষয়গুলোও খেয়াল রাখুন।
  • এমনও হতে পারে যে গরম আবহাওয়া কিংবা অতিরিক্ত শক্ত বিছানায় শোবার কারণে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। এ রকম কিছুকে কারণ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারলে সেটির সমাধান করুন। মনে রাখবেন, মোটামুটি শক্ত বিছানা মেরুদণ্ডের জন্য ভালো হলেও অতিরিক্ত শক্ত বিছানা আদতে ঘুমের জন্য ভালো নয়।
  • হরমোনের পরিবর্তন হলেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই একজন নারী মাসিকের সময়, গর্ভাবস্থায় কিংবা মেনোপজের সময় ঘুম ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় ভুগতে পারেন।
  • রাতে বারবার প্রস্রাব করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলেও আপনি একটানা ঘুমাতে পারবেন না। এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ আবশ্যক।
  • ঘুমের মধ্যে শ্বাস ব্যাহত হওয়ার সমস্যা (অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া), ঘুমের মধ্যে পায়ের পেশি নড়ে ওঠা (রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম) কিংবা শরীরে তীব্র চুলকানি থাকলে ঘুম ভেঙে যেতে পারে বারবার।
  • কিছু ওষুধের প্রভাবেও ঘুম ভেঙে যাওয়ার সমস্যা হয়।
    বাড়িতে নিজে চেষ্টা করে সাধারণ বিষয়গুলোর সমাধান করতে পারবেন আপনি। তবে যেসব বিষয়ের সঙ্গে শারীরিক সমস্যা সরাসরি জড়িয়ে থাকে, সেগুলোর কোনোটি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন শুরুতেই।
ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাতে কতবার ঘুম ভাঙা স্বাভাবিক?

আপডেট সময় : ০৩:৫৬:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের নানা কারণেই রাতে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। কিছু বিষয় ঘুমের পরিবেশের সঙ্গে জড়িত, কিছু আবার স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। রাতে এক থেকে তিনবার আপনার ঘুম ভেঙে যেতে পারে স্বাভাবিকভাবেই। অবশ্য বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমের সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। তখন পাঁচবার পর্যন্ত ঘুম ভেঙে যাওয়াকেও স্বাভাবিক ধরে নেওয়া যেতে পারে। তবে এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও কিছু বিষয়। সেগুলো ঠিক না থাকলে মাত্র একবার ঘুম ভাঙাটাও অস্বাভাবিক হতে পারে।

যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

কিছু সমস্যা দেখা দিলে রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়াটাকে অস্বাভাবিক ধরে নেওয়া হয়:

  • একবার ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর ৩০ মিনিটের মধ্যে আবার ঘুমিয়ে পড়তে না পারা।
  • সকালে ঘুম থেকে ওঠার ৩০ মিনিটের মধ্যে সতেজ হতে না পারা, মাথাব্যথা করা।
  • সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব কিংবা বারবার ঘুমানোর প্রয়োজন অনুভব করা।
  • দিনের বেলা কাজেকর্মে মনোযোগ দিতে না পারা।
  • দিনের অনেকটা সময় তুচ্ছ কারণে মেজাজ বিগড়ে থাকা।

.

ঘুম ভাঙা যখন অস্বাভাবিক

সব দিক বিবেচনায় নিয়ে যদি দেখা যায়, রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়াটা অস্বাভাবিক, তাহলে বের করতে হবে, কী কারণে এটা হচ্ছে।

  • নিজেকে প্রশ্ন করুন, কোনো কিছু নিয়ে মানসিক চাপে আছেন কি না। কারণ, প্রতিযোগিতার এই যুগে বহু মানুষই মানসিক চাপে ভোগেন। আর রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো এই চাপ। তাই সহজভাবে নিন জীবনটাকে। ধ্যান করুন। করুন শরীরচর্চা। শ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। কাছের মানুষদের সময় দিন। বন্ধুদের সঙ্গে মন খুলে আড্ডা দিন। প্রয়োজনে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
  • মুঠোফোনে অতিরিক্ত সময় কাটানো কিংবা উত্তেজনাপূর্ণ কনটেন্ট দেখার কারণেও ঘুম ভেঙে যেতে পারে রাতে। অ্যালকোহল গ্রহণের কারণেও এমন সমস্যা হয়। এ বিষয়গুলোও খেয়াল রাখুন।
  • এমনও হতে পারে যে গরম আবহাওয়া কিংবা অতিরিক্ত শক্ত বিছানায় শোবার কারণে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। এ রকম কিছুকে কারণ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারলে সেটির সমাধান করুন। মনে রাখবেন, মোটামুটি শক্ত বিছানা মেরুদণ্ডের জন্য ভালো হলেও অতিরিক্ত শক্ত বিছানা আদতে ঘুমের জন্য ভালো নয়।
  • হরমোনের পরিবর্তন হলেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই একজন নারী মাসিকের সময়, গর্ভাবস্থায় কিংবা মেনোপজের সময় ঘুম ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় ভুগতে পারেন।
  • রাতে বারবার প্রস্রাব করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলেও আপনি একটানা ঘুমাতে পারবেন না। এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ আবশ্যক।
  • ঘুমের মধ্যে শ্বাস ব্যাহত হওয়ার সমস্যা (অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া), ঘুমের মধ্যে পায়ের পেশি নড়ে ওঠা (রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম) কিংবা শরীরে তীব্র চুলকানি থাকলে ঘুম ভেঙে যেতে পারে বারবার।
  • কিছু ওষুধের প্রভাবেও ঘুম ভেঙে যাওয়ার সমস্যা হয়।
    বাড়িতে নিজে চেষ্টা করে সাধারণ বিষয়গুলোর সমাধান করতে পারবেন আপনি। তবে যেসব বিষয়ের সঙ্গে শারীরিক সমস্যা সরাসরি জড়িয়ে থাকে, সেগুলোর কোনোটি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন শুরুতেই।