ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিএনপির ছয় নেতার বিরুদ্ধে মামলা ও থানার ওসির অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন আয়োজনের প্রস্তুতির সময় এজাহারভুক্ত তিন নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার কলেজ রোডের চুয়াল্লিশের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ব্যানার পৌঁছানোর আগে পুলিশ এসে চারজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। অন্যান্য নেতা-কর্মী পুলিশ দেখে পালিয়ে যান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোশবুর রহমান ওরফে খোকন, উপজেলা যুবদলের কর্মী রমজান মোল্লা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আরব আলী ও অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে আলফাডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, গত শুক্রবার রাতে হামলার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। আজকের মানববন্ধন চলাকালে এজাহারভুক্ত তিন আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আজই আদালতে সোপর্দ করা হবে।
মামলা করেছেন বোয়ালমারীর রূপপাত ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রদল নেতা বনি আমিন। অভিযোগে বলা হয়েছে, খোশবুর রহমানের গ্রুপ তাঁকে ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য এ কে এম উজ্জ্বল হোসেনের ওপর হামলা চালিয়েছে। মামলায় ছয়জনকে এজাহারভুক্ত করা হয়েছে এবং ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপি বর্তমানে দুই ভাগে বিভক্ত। এক অংশের নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, অপর অংশের নেতৃত্ব দেন বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ওরফে ঝুনু। শামসুদ্দিন মিয়ার পক্ষে আলফাডাঙ্গায় নেতৃত্ব দেন খোশবুর রহমান।
সম্প্রতি খোশবুর রহমানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে আগে তোলা বিভিন্ন ছবি দিয়ে পোস্ট করে নাসিরুলের গ্রুপের লোকজন। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে নাসিরুল গ্রুপের বোয়ালমারী উপজেলা সাবেক ছাত্রদল নেতা বনি আমিনের ওপর শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আলফাডাঙ্গা সদর বাজারে খোশবুর রহমানের গ্রুপের লোকজন হামলা চালায়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে নাসিরুলের আরেক সমর্থক উপজেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য একেএম উজ্জ্বলের ওপর হামলা চালায়। এতে তারা আহত হন। এ ঘটনায় করা অভিযোগটি শুক্রবার রাতেই থানায় মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়