লেন পছিশ্চিম চরবাউশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে ফারুক খান। তিনি সমাবেশের মঞ্চে ওঠেননি। তবে সমাবেশ মাঠে তাঁকে সরব দেখা গেছে বলে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী নিশ্চিত করেছে।
হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নে গঙ্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আল মামুন। তিনি বুধবার দুপুরে উপজেলা সদরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ মঞ্চে থেকে ফেসবুকে লাইভ করেন। তাঁর আগে গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের একটি মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে সমাবেশে পৌঁছেন তিনি। ওইদিন সকালে মামুন প্রধান শিক্ষককে মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন, মায়ের অসুস্থতার জন্য বিদ্যালয়ে যাবেন না।
একই দিন বিদ্যালয়ের অনুপস্থিত খোঁজ জানা গেছে, আল মামুন ও ফারুক খান পেশায় সরকারি চাকরিজীবী হলেও তারা পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ। আল মামুন উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ফারুক জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তারা বিএনপির সব কর্মসূচিতে থাকেন সামনের সারিতে। উপজেলায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের নিয়মিত দেখা যায় তাদের।
বুধবার বিদ্যালয় চলাকালীন বিএনপির কর্মসূচিতে আল মামুনের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে গঙ্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন জানান, মামুন সকালে ফোনে জানিয়েছিলেন তাঁর মা অসুস্থ, তাই স্কুলে যাবেন না। তবে ছুটির দরখাস্ত দেননি। হাজিরা খাতায় সি.এল (ক্যাজুয়াল লিভ) লিখে অনুপস্থিত দেখিয়েছেন। পরে ছুটির দরখাস্ত দেবেন। ওই সময়ে মামুন বিএনপির কর্মসূচিতে ছিলেন কিনা জানেন না।
আল মামুন এ প্রসঙ্গে বলেন, বুধবার মাকে ডাক্তার দেখানোর পর হাতে সময় ছিল। এজন্য দলের টানে সমাবেশে গেছেন তিনি।
এদিকে আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকে ফারুক খান উপজেলায় বিএনপির অন্যতম প্রভাবশালী নেতায় পরিণত হয়েছেন। তিনি দিনের বেশির ভাগ সময় কাটান উপজেলা পরিষদে। আহ্বায়ক দাবি করে স্থানীয় প্রেস ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। মৎস্যজীবী দলের সভাপতি পদে থাকার বিষয়টি স্বীকার করে ফারুক জানান, আওয়ামী লীগের পতনের পর স্থানীয় সাংবাদিকরা বিরোধে জড়িয়ে একাধিক কমিটি করেন। তখন উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা তাঁকে মৌখিকভাবে আহ্বায়ক ঘোষণা দেন। ঠিকাদারি লাইসেন্সটি মেয়াদোত্তীর্ণ বলে দাবি করেন তিনি।