ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিসি চাষে পাঁচগুণ আয়!

  • Meghla
  • আপডেট সময় : ১২:৪০:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

সিলেটের বিশ্বনাথে প্রথমবার ‘তিসি’ চাষে সাফল্য পেয়েছেন কৃষক কাজল নাগ। অল্প জায়গায়, স্বল্প পরিশ্রম ও সময়ে পুঁজির পাঁচগুণ আয় করেছেন তিনি। এক ফসলি পতিত জমি কাজে লাগিয়ে, সুযোগ তৈরি করেছেন অধিক আয়ের।

সরেজমিন কৃষক কাজল নাগের তিসি ক্ষেত দেখতে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের যাওয়া হয়। গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির কাছেই আমন ক্ষেতে তিসির চাষ করেছেন তিনি। পুরো ক্ষেত জুড়েই ভালো ফলন হয়েছে তিসির। কেবল ফসল তোলার অপেক্ষা।

কথা হলে তিনি জানান, ‘আমন ধান তোলার পর এখানকার অধিকাংশ জমিতেই অন্য ফসল চাষবাস করা হয়না। চাইলে স্বল্প জীবকালীন ভিবিন্ন ফসল চাষ করে অতিরিক্ত কিছু আয় করা সম্ভব। সেই চিন্তা থেকেই বিশ্বনাথ কৃষি অফিস থেকে তিসি’র প্রদর্শনী নেই। গেল বছরের ১০ ডিসেম্বর ৩৩ শতক জমিতে উন্নত জাতের এক কেজি তিসি চাষ করি। এ বছরের মার্চ মাসের শুরুতেই ফসলে পরিপূর্ণ হয়ে যায় ক্ষেত। এতে কেবল জমি চাষ ও পরিচর্যায় খরচ হয় মাত্র তিন হাজার টাকা। যে ফলন হয়েছে, তাতে একেবারে কম করে হলেও ১শ কেজি হবে। যার বাজার মূল্য ২০ হাজার টাকার বেশি। মাত্র চার মাসে ৩ হাজার ব্যয়ে ২০ হাজার উর্পাজন কম কিসে। তিসি চাষে সেচ, সার-কীটনাশকের প্রয়োজন পড়ে না বিধায় উৎপাদন খরচ একদম কম।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, ‘তিসি একটি খরা সহিষ্ণু ফসল যা তুলনামূলক কম ঊর্বর জমিতে হয়ে থাকে। বিশ্বনাথ উপজেলায় সেচের পানির অভাবে অনেক জমি পতিত থাকে। এসব জমিতে তিসি চাষ করা গেলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। তাছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে তিষি চাষ করা উচিত।’

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

তিসি চাষে পাঁচগুণ আয়!

আপডেট সময় : ১২:৪০:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

সিলেটের বিশ্বনাথে প্রথমবার ‘তিসি’ চাষে সাফল্য পেয়েছেন কৃষক কাজল নাগ। অল্প জায়গায়, স্বল্প পরিশ্রম ও সময়ে পুঁজির পাঁচগুণ আয় করেছেন তিনি। এক ফসলি পতিত জমি কাজে লাগিয়ে, সুযোগ তৈরি করেছেন অধিক আয়ের।

সরেজমিন কৃষক কাজল নাগের তিসি ক্ষেত দেখতে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের যাওয়া হয়। গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির কাছেই আমন ক্ষেতে তিসির চাষ করেছেন তিনি। পুরো ক্ষেত জুড়েই ভালো ফলন হয়েছে তিসির। কেবল ফসল তোলার অপেক্ষা।

কথা হলে তিনি জানান, ‘আমন ধান তোলার পর এখানকার অধিকাংশ জমিতেই অন্য ফসল চাষবাস করা হয়না। চাইলে স্বল্প জীবকালীন ভিবিন্ন ফসল চাষ করে অতিরিক্ত কিছু আয় করা সম্ভব। সেই চিন্তা থেকেই বিশ্বনাথ কৃষি অফিস থেকে তিসি’র প্রদর্শনী নেই। গেল বছরের ১০ ডিসেম্বর ৩৩ শতক জমিতে উন্নত জাতের এক কেজি তিসি চাষ করি। এ বছরের মার্চ মাসের শুরুতেই ফসলে পরিপূর্ণ হয়ে যায় ক্ষেত। এতে কেবল জমি চাষ ও পরিচর্যায় খরচ হয় মাত্র তিন হাজার টাকা। যে ফলন হয়েছে, তাতে একেবারে কম করে হলেও ১শ কেজি হবে। যার বাজার মূল্য ২০ হাজার টাকার বেশি। মাত্র চার মাসে ৩ হাজার ব্যয়ে ২০ হাজার উর্পাজন কম কিসে। তিসি চাষে সেচ, সার-কীটনাশকের প্রয়োজন পড়ে না বিধায় উৎপাদন খরচ একদম কম।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, ‘তিসি একটি খরা সহিষ্ণু ফসল যা তুলনামূলক কম ঊর্বর জমিতে হয়ে থাকে। বিশ্বনাথ উপজেলায় সেচের পানির অভাবে অনেক জমি পতিত থাকে। এসব জমিতে তিসি চাষ করা গেলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। তাছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে তিষি চাষ করা উচিত।’