ঢাকা ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রিটিশ তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ থেকে ৫ ইসরায়েলিকে খালাস

  • Meghla
  • আপডেট সময় : ০২:১০:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

সাইপ্রাসে ২০ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ থেকে পাঁচ ইসরায়েলি তরুণকে খালাস দেয়া হয়েছে। সোমবার দেশটির ফামাগুস্তার ফৌজদারি আদালত এই রায় দেন। খবর বিবিসির।

আদালত পাঁচ আসামিকে দুটি ধর্ষণ, একটি যৌন নির্যাতন, একটি জোরপূর্বক যৌন মিলনের অভিযোগ, একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ এবং একটি অপহরণের অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন।

জানা গেছে, ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে পাঁচজন ইসরায়েলি নাগরিক তাকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ করেছিলেন। পাঁচ আসামি ছিলেন ১৯ থেকে ২০ বছর বয়সী ইসরায়েলি পুরুষ যারা মাজদ আল-ক্রুম শহর থেকে এসেছিলেন।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৩ সালে সাইপ্রাসের ফামাগুস্তার ফৌজদারি আদালতে বিচার শুরু হয়। তবে অভিযুক্তরা আদালতে তাদের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।

তিন বিচারকের প্যানেল রায়ে বলেছে, ওই তরুণীর সাক্ষ্য বিশ্বাসযোগ্য ছিল না। একইসঙ্গে ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ, তাদের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে অসঙ্গতি এবং দুর্বলতা ছিল।

আদালত বলেছে, তরুণীর অভিযোগ ছিল যে তাকে ১০০ জনের একটি দল থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। কারণ তার একজন বন্ধু সাক্ষ্য দিয়েছে যে তাকে অন্য ব্যক্তির সঙ্গে উপরের ঘরে সে যেতে দেখেছে।

ফরেনসিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, তরুণী উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অ্যালকোহল পান করেছিলেন এবং মাদকদ্রব্যের (এমডিএ এবং এমডিএমএ) প্রভাবে ছিলেন। আদালত আরও জানিয়েছে, কথিত গণধর্ষণের সময় তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করেছিলেন বলে তিনি যে দাবি করেছেন সেটিও বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ পাশের ঘর থেকে দুই ব্যক্তি কিছুই শুনতে পাননি বলে জানিয়েছেন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রিটিশ তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ থেকে ৫ ইসরায়েলিকে খালাস

আপডেট সময় : ০২:১০:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫

সাইপ্রাসে ২০ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ থেকে পাঁচ ইসরায়েলি তরুণকে খালাস দেয়া হয়েছে। সোমবার দেশটির ফামাগুস্তার ফৌজদারি আদালত এই রায় দেন। খবর বিবিসির।

আদালত পাঁচ আসামিকে দুটি ধর্ষণ, একটি যৌন নির্যাতন, একটি জোরপূর্বক যৌন মিলনের অভিযোগ, একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ এবং একটি অপহরণের অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন।

জানা গেছে, ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে পাঁচজন ইসরায়েলি নাগরিক তাকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ করেছিলেন। পাঁচ আসামি ছিলেন ১৯ থেকে ২০ বছর বয়সী ইসরায়েলি পুরুষ যারা মাজদ আল-ক্রুম শহর থেকে এসেছিলেন।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৩ সালে সাইপ্রাসের ফামাগুস্তার ফৌজদারি আদালতে বিচার শুরু হয়। তবে অভিযুক্তরা আদালতে তাদের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।

তিন বিচারকের প্যানেল রায়ে বলেছে, ওই তরুণীর সাক্ষ্য বিশ্বাসযোগ্য ছিল না। একইসঙ্গে ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ, তাদের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে অসঙ্গতি এবং দুর্বলতা ছিল।

আদালত বলেছে, তরুণীর অভিযোগ ছিল যে তাকে ১০০ জনের একটি দল থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। কারণ তার একজন বন্ধু সাক্ষ্য দিয়েছে যে তাকে অন্য ব্যক্তির সঙ্গে উপরের ঘরে সে যেতে দেখেছে।

ফরেনসিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, তরুণী উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অ্যালকোহল পান করেছিলেন এবং মাদকদ্রব্যের (এমডিএ এবং এমডিএমএ) প্রভাবে ছিলেন। আদালত আরও জানিয়েছে, কথিত গণধর্ষণের সময় তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করেছিলেন বলে তিনি যে দাবি করেছেন সেটিও বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ পাশের ঘর থেকে দুই ব্যক্তি কিছুই শুনতে পাননি বলে জানিয়েছেন।