সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে পাঁচ প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৬ মে) রাতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
গ্রেফতাররা হলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার যমুনা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, শহরের এস,বি রেলওয়ে কলোনী হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক আবু সামা, বাহুকা কলেজের প্রভাষক বাচ্চু কুমার ঘোষ, জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ জোনাল অফিসের প্রিন্সিপাল অফিসার ইয়াসিন আরাফাত এবং এদের সমন্বয়ক শিয়ালকোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর ইসলাম।
জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, রোববার (৫ মে) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় সদর উপজেলার কাদাই এলাকার একটি রিসোর্টের ভিতর সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার তালিকাভুক্ত কতিপয় প্রিজাইডিং অফিসার একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনেকে প্রভাবিত করতে গোপন বৈঠক করছেন। সংবাদ পাওয়ার পরই সেখানে পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচন অফিসের সমন্বয়ে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু এর আগেই তারা পালিয়ে যায়।
তবে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে বৈঠকে থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, এ বিষয়ে সোমবার দিনভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও এদের মাস্টার মাইন্ড শিয়ালকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তবে কোন প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক করা হচ্ছিল সে বিষয়টি আরও তদন্তের পর জানানো হবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রিটারিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয়ের ২০ জনের বিরুদ্ধে সোমবার মামলা দায়ের করা হয়েছে।