ঢাকা ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের রকেট হামলায় যেভাবে নির্মম মৃত্যু হলো ৫,০০০ ভ্রূণের 

গত বছর ডিসেম্বরে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় ফার্টিলিটি ক্লিনিকে আঘাত হানে ইসরায়েলি গোলা। ওই বিস্ফোরণে গাজা শহরের আল বাসমা আইভিএফ সেন্টারটির ভ্রূণবিদ্যা (অ্যাম্ব্রুলোজি) ইউনিটের এক কোণে সংরক্ষিত পাঁচটি তরলীকৃত নাইট্রোজেনের ট্যাঙ্কারের ঢাকনা ফেটে যায়।

এতে শীতলীকরণে ব্যবহৃত এই অতি-ঠান্ডা তরলটি বাষ্পীভূত হয়ে বাতাসে মিশে যায়। এতে অতি দ্রুত ট্যাঙ্কের ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে থাকে। এতে সেখানে সংরক্ষিত ৪,০০০ ভ্রূণ এবং এক হাজার শুক্রাণুর নমুনা এবং নিষিক্ত ডিম্বাণু নষ্ট হয়ে যায়। খবর রয়টার্স।
সেই একক বিস্ফোরণের নেতিবাচক প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। গাজার ২৩ লাখ মানুষের উপর ইসরায়েলের সাড়ে ছয় মাসব্যাপী চলতে থাকা বর্বরোচিত হামলার এটি ছিল অনেকটা অদেখা একটি কালো উদাহরণ।ওই ট্যাঙ্কের ভ্রূণগুলোই ছিল বন্ধ্যাত্বের শিকার হাজারো ফিলিস্তিনি দম্পতির শেষ ভরসা।আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি, এই ৫ হাজার জীবন, বা সম্ভাব্য অনাগত জীবন ওই সব দম্পতির কাছে জীবনের চেয়েও মূল্যবান ছিল।’ এমনটি জানিয়েছেন ৭৩ বছর বয়সী বাহেলদিন ঘালাইনি। কেমব্রিজ-প্রশিক্ষিত প্রসূতি বিশেষজ্ঞ এবং স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বাহেলদিন ঘালাইনি ১৯৯৭ সালে এই ক্লিনিকটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন৷

এই ঘটনার পর অন্তত অর্ধেক ভুক্তভোগী দম্পতি – যারা আর হয়তো কখনও কার্যকর ভ্রূণ তৈরির জন্য শুক্রাণু বা ডিম্বাণু তৈরি করতে পারবেন না – তাদের বাবা-মা হওয়ার আর কোন সুযোগ থাকলো না।

 

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের রকেট হামলায় যেভাবে নির্মম মৃত্যু হলো ৫,০০০ ভ্রূণের 

আপডেট সময় : ১০:০১:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

গত বছর ডিসেম্বরে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় ফার্টিলিটি ক্লিনিকে আঘাত হানে ইসরায়েলি গোলা। ওই বিস্ফোরণে গাজা শহরের আল বাসমা আইভিএফ সেন্টারটির ভ্রূণবিদ্যা (অ্যাম্ব্রুলোজি) ইউনিটের এক কোণে সংরক্ষিত পাঁচটি তরলীকৃত নাইট্রোজেনের ট্যাঙ্কারের ঢাকনা ফেটে যায়।

এতে শীতলীকরণে ব্যবহৃত এই অতি-ঠান্ডা তরলটি বাষ্পীভূত হয়ে বাতাসে মিশে যায়। এতে অতি দ্রুত ট্যাঙ্কের ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে থাকে। এতে সেখানে সংরক্ষিত ৪,০০০ ভ্রূণ এবং এক হাজার শুক্রাণুর নমুনা এবং নিষিক্ত ডিম্বাণু নষ্ট হয়ে যায়। খবর রয়টার্স।
সেই একক বিস্ফোরণের নেতিবাচক প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। গাজার ২৩ লাখ মানুষের উপর ইসরায়েলের সাড়ে ছয় মাসব্যাপী চলতে থাকা বর্বরোচিত হামলার এটি ছিল অনেকটা অদেখা একটি কালো উদাহরণ।ওই ট্যাঙ্কের ভ্রূণগুলোই ছিল বন্ধ্যাত্বের শিকার হাজারো ফিলিস্তিনি দম্পতির শেষ ভরসা।আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি, এই ৫ হাজার জীবন, বা সম্ভাব্য অনাগত জীবন ওই সব দম্পতির কাছে জীবনের চেয়েও মূল্যবান ছিল।’ এমনটি জানিয়েছেন ৭৩ বছর বয়সী বাহেলদিন ঘালাইনি। কেমব্রিজ-প্রশিক্ষিত প্রসূতি বিশেষজ্ঞ এবং স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বাহেলদিন ঘালাইনি ১৯৯৭ সালে এই ক্লিনিকটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন৷

এই ঘটনার পর অন্তত অর্ধেক ভুক্তভোগী দম্পতি – যারা আর হয়তো কখনও কার্যকর ভ্রূণ তৈরির জন্য শুক্রাণু বা ডিম্বাণু তৈরি করতে পারবেন না – তাদের বাবা-মা হওয়ার আর কোন সুযোগ থাকলো না।