ঢাকা ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছেলের বিদেশযাত্রায় ১০ দিনের জন্য মুক্তি পেলেন খুনের আসামি বাবা

  • NEWS 21 BANGLA TV
  • আপডেট সময় : ০৫:১৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

ছেলের বিদেশযাত্রায় ১০ দিনের জন্য মুক্তি পেলেন খুনের আসামি বাবা

দুঃখের কারণ ঘটলে জেলবন্দিরা প্যারোলে সাময়িকভাবে মুক্তি পেয়ে থাকেন। তবে খুশির কারণে কেন পাবেন না? একটি মামলায় এমনটাই প্রশ্ন তুলল ভারতের মুম্বাই হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এক ব্যক্তি খুশির কারণে প্যারোলে মুক্তিও দিয়েছে আদালত। ওই বন্দির ছেলে উচ্চশিক্ষার সূত্রে বিদেশে যাচ্ছেন। তাকে বিদায় জানাতে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।

মুম্বাই হাইকোর্টের বিচারপতি ভারতী ডাংরে এবং বিচারপতি মঞ্জুষা দেশপাণ্ডের বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য উঠেছিল। বিবেক শ্রীবাস্তব নামের এক ব্যক্তি আদালতে প্যারোলের জন্য আবেদন জানান। তিনি জানান, তার ছেলে অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন। এই সময়ে তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পাশে থাকা জরুরি। ছেলের পড়াশোনার খরচ জোগাতে হবে তাকেই। সেই সঙ্গে তিনি ছেলেকে বিদায়ও জানাতে চান তার দেশ ছাড়ার আগে।

মামলাকারীর আবেদনের বিরোধিতা করেন বিরোদীপক্ষ। তাদের বক্তব্য ছিল, প্যারোল যে কোনো বন্দিকে সাধারণত কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র ছেলেকে বিদায় জানাতে এবং তার পড়াশোনার খরচ জোগাতে কেউ প্যারোলে মুক্তি পেতে পারেন না। বিপক্ষের এই যুক্তি বোঝা যাচ্ছে না বলে জানায় আদালত।

এ প্রসঙ্গে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, যে কোনো বন্দিকে সাময়িকভাবে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া যায়। বহির্জগতের সঙ্গে যাতে তাদের যোগাযোগ বজায় থাকে, পারিবারিক সম্পর্ক যাতে অটুট থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এই প্যারোলে মুক্তির নিয়ম রয়েছে। বন্দি হলেও তিনি কারো না কারো বাবা, স্বামী, ছেলে কিংবা ভাই। প্যারোলে মুক্তিকে বরাবর ‘মানবিক উদ্যোগ’ হিসাবেই দেখা হয়েছে।

আদালত আরও জানিয়েছে, দুঃখের মতো খুশিও একটি আবেগ। কাছের মানুষের মৃত্যু হলে সেই দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার জন্য বন্দিরা প্যারোলে মুক্তি পেয়ে থাকেন। তাই সুখের অনুভূতিও ভাগ করে নেওয়ার জন্য এই সাময়িক মুক্তি তাদের প্রাপ্য। ছেলের সঙ্গে দেখা করার জন্য মামলাকারীকে ১০ দিনের প্যারোল দিয়েছে আদালত।

২০১২ সালের একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত হন শ্রীবাস্তব। ২০১৮ সালে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আপাতত তিনি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। ছেলে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পাওয়ায় এক মাসের জন্য মুক্তি চেয়েছিলেন তিনি। আদালত ১০ দিনের জন্য শর্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তি দিয়েছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ছেলের বিদেশযাত্রায় ১০ দিনের জন্য মুক্তি পেলেন খুনের আসামি বাবা

আপডেট সময় : ০৫:১৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

দুঃখের কারণ ঘটলে জেলবন্দিরা প্যারোলে সাময়িকভাবে মুক্তি পেয়ে থাকেন। তবে খুশির কারণে কেন পাবেন না? একটি মামলায় এমনটাই প্রশ্ন তুলল ভারতের মুম্বাই হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এক ব্যক্তি খুশির কারণে প্যারোলে মুক্তিও দিয়েছে আদালত। ওই বন্দির ছেলে উচ্চশিক্ষার সূত্রে বিদেশে যাচ্ছেন। তাকে বিদায় জানাতে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।

মুম্বাই হাইকোর্টের বিচারপতি ভারতী ডাংরে এবং বিচারপতি মঞ্জুষা দেশপাণ্ডের বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য উঠেছিল। বিবেক শ্রীবাস্তব নামের এক ব্যক্তি আদালতে প্যারোলের জন্য আবেদন জানান। তিনি জানান, তার ছেলে অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন। এই সময়ে তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পাশে থাকা জরুরি। ছেলের পড়াশোনার খরচ জোগাতে হবে তাকেই। সেই সঙ্গে তিনি ছেলেকে বিদায়ও জানাতে চান তার দেশ ছাড়ার আগে।

মামলাকারীর আবেদনের বিরোধিতা করেন বিরোদীপক্ষ। তাদের বক্তব্য ছিল, প্যারোল যে কোনো বন্দিকে সাধারণত কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র ছেলেকে বিদায় জানাতে এবং তার পড়াশোনার খরচ জোগাতে কেউ প্যারোলে মুক্তি পেতে পারেন না। বিপক্ষের এই যুক্তি বোঝা যাচ্ছে না বলে জানায় আদালত।

এ প্রসঙ্গে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, যে কোনো বন্দিকে সাময়িকভাবে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া যায়। বহির্জগতের সঙ্গে যাতে তাদের যোগাযোগ বজায় থাকে, পারিবারিক সম্পর্ক যাতে অটুট থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এই প্যারোলে মুক্তির নিয়ম রয়েছে। বন্দি হলেও তিনি কারো না কারো বাবা, স্বামী, ছেলে কিংবা ভাই। প্যারোলে মুক্তিকে বরাবর ‘মানবিক উদ্যোগ’ হিসাবেই দেখা হয়েছে।

আদালত আরও জানিয়েছে, দুঃখের মতো খুশিও একটি আবেগ। কাছের মানুষের মৃত্যু হলে সেই দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার জন্য বন্দিরা প্যারোলে মুক্তি পেয়ে থাকেন। তাই সুখের অনুভূতিও ভাগ করে নেওয়ার জন্য এই সাময়িক মুক্তি তাদের প্রাপ্য। ছেলের সঙ্গে দেখা করার জন্য মামলাকারীকে ১০ দিনের প্যারোল দিয়েছে আদালত।

২০১২ সালের একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত হন শ্রীবাস্তব। ২০১৮ সালে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আপাতত তিনি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। ছেলে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পাওয়ায় এক মাসের জন্য মুক্তি চেয়েছিলেন তিনি। আদালত ১০ দিনের জন্য শর্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তি দিয়েছে।