হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা সোহেল চৌধুরী বাস চাপায় নিহত হয়েছেন। গতকাল রাউজানে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। পরে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে তার মৃত্যুর ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে মহাসড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে দলটি।
আজ বুধবার ভোর থেকে উত্তর চট্টগ্রামে হাটহাজারী, রাউজান, ফটিকছড়িসহ পার্বত্য অঞ্চলের রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও মানিকছড়িতে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে হেফাজতের নেতাকর্মীরা। তবে এখন পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোর থেকেই হেফাজতের নেতাকর্মীরা হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে, কলেজ গেট, জাগৃতি মোড় ও বাস স্টেশন মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। তারা সড়কে কাঠের বেঞ্চ ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে ব্যারিকেড দিয়েছেন। এতে পার্বত্য অঞ্চলের দুই জেলাসহ কয়েকটি উপজেলার যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কামরুল কাসেমী ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা নিজাম সাইয়্যিদ বলেন, মাওলানা সোহেল চৌধুরী একজন কারানির্যাতিত নেতা। তিনি শেখ হাসিনার আমলে দীর্ঘদিন গুম ছিলেন। তাকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। গতকাল মোটরসাইকেলযোগে নিজের কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পরিকল্পিতভাবে বাস চাপা দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
হেফাজত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর মুমূর্ষ অবস্থায় মাওলানা সোহেলকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর শুনে দলীয় নেতাকর্মীরা হাসপাতালের সামনেই তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ করেন।
এদিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে মূল মাওলানা সোহেল হত্যায় জড়িতদের বিচার ও নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান হেফাজত নেতারা। প্রসঙ্গত, ঘাতক গাড়িটির চালক বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী তারিক আজিজ জানান, আমরা হেফাজত নেতাকর্মীদের সঙ্গে বসে কথা বলেছি। তারা এখন সড়ক থেকে সরে যাবে।