ঢাকা ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় আসামি আটকের পর নির্যাতনের অভিযোগ

নওগাঁ কোর্টে গত ২৭ জুন সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮-এর ৩৬(ক) সারণীর ১৪(ক) ধারায় নওগাঁ সদর উপজেলার আসামি মেহেদী হাসানকে নওগাঁ আদালতে হাজির করলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: আয়শা সিদ্দিকী ইমা’র কাছে মারধর করার অভিযোগ করেন আসামি মেহেদী হাসান।

আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করে সত্যতা নিশ্চিত করতে তার শরীরের আঘাত এর চিহ্ন দেখতে চায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: আয়শা সিদ্দিকী ইমা। বিজ্ঞ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটকে আসামি মেহেদী হাসান তার নিজ শরীরে আঘাত গুলো দেখাইলে ম্যাজিস্ট্রেট ছবি তুলে এবং আসামির শরীরে কোথায়, কোথায় আঘাতে চিহ্ন আছে কি ধরনের আঘাত তিনি পেয়েছেন, কতো দিন পূর্বের আঘাত সেটি মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে পরিক্ষা করে মতামত অবিলম্বে দাখিলের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নির্দেশ করে আদালত। এবং পরিক্ষা শেষে C/W মূলে জেল হাজতে প্রেরণের জন্য কোর্ট পুলিশ পরিদর্শককে নির্দেশ করে আদালত।

সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত ২৬ জুন বেলা ১১টায় শহরের পার নওগাঁ স্টেডিয়াম পাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মেহেদী হাসান কে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এস আই আব্দুল্লাহ হীল বাকী ও তার সঙ্গীও ফোর্স ২১ পিছ বুপ্রেনরাফিন ইনজেকশন সহ আটক করে বাড়িতে নিয়ে এসে ঘরে প্রবেশ করে ঘরে আরো কোন মাদকদ্রব্য ইনজেকশন আছে বলে খোঁজ খুঁজির এক পর্যায়ে কোন কিছু না পেলে গামছা দিয়ে পা বেঁধে তার সহযোগী হিসেবে এক জনের নাম বলতে বলেন এস আই আব্দুল্লাহ হীল বাকী। আসামি মেহেদী নাম বলতে অস্বীকৃতি জানাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এস আই আব্দুল্লাহ হীল বাকী বেঁধে রাখা পায়ের পাতায় একটি বাশের লাঠি দিয়ে আঘাত সহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিসে নিয়ে যায়। আসামি মেহেদী হাসান মারধোরে অসুস্থ হয়ে পরলে পরের দিন ২৭ জুন আদালতে পেরণ করেন। এর আগে সকালে নওগাঁ সদর মডেল থানা একটি মামলা করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর এস আই আব্দুল্লাহ হীল বাকী।

এই বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই আব্দুল্লাহ হীল বাকীর সাথে একাধিক মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেয়।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর সহকারি পরিচালক মো: লোকমান হোসেন জানায়, মাদক সহ আসামি মেহেদীকে আটক করা হয়েছে। আমাদের অফিসে মারধর করার কোন সুযোগ নেই। আদালতে আসামির অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিটা মাদক ব্যবসায়ীর মারধরের বিষয়ে আদালতে অভিযোগ করা এটি একটা কৌশল তবে তার শরীরের চিহ্ন গুলো আটক করার আগের।

নওগাঁ সদর হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাক্তার জানায়, আসামি মেহেদী হাসান’কে পরিক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার শরীরে হাতের উপরের বাহু অংশ ও কব্জি, দুই পায়ের গোড়ালি ও পাতার অংশে কিছু আঘাত এর চিহ্ন আছে। আদালতের আদেশে পরিক্ষা করা হয় এবং প্রতিবেদন তৈরী করে আদালতে পাঠানো হবে।

 

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

নওগাঁয় আসামি আটকের পর নির্যাতনের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৫:২২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

নওগাঁ কোর্টে গত ২৭ জুন সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮-এর ৩৬(ক) সারণীর ১৪(ক) ধারায় নওগাঁ সদর উপজেলার আসামি মেহেদী হাসানকে নওগাঁ আদালতে হাজির করলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: আয়শা সিদ্দিকী ইমা’র কাছে মারধর করার অভিযোগ করেন আসামি মেহেদী হাসান।

আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করে সত্যতা নিশ্চিত করতে তার শরীরের আঘাত এর চিহ্ন দেখতে চায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: আয়শা সিদ্দিকী ইমা। বিজ্ঞ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটকে আসামি মেহেদী হাসান তার নিজ শরীরে আঘাত গুলো দেখাইলে ম্যাজিস্ট্রেট ছবি তুলে এবং আসামির শরীরে কোথায়, কোথায় আঘাতে চিহ্ন আছে কি ধরনের আঘাত তিনি পেয়েছেন, কতো দিন পূর্বের আঘাত সেটি মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে পরিক্ষা করে মতামত অবিলম্বে দাখিলের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নির্দেশ করে আদালত। এবং পরিক্ষা শেষে C/W মূলে জেল হাজতে প্রেরণের জন্য কোর্ট পুলিশ পরিদর্শককে নির্দেশ করে আদালত।

সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত ২৬ জুন বেলা ১১টায় শহরের পার নওগাঁ স্টেডিয়াম পাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মেহেদী হাসান কে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এস আই আব্দুল্লাহ হীল বাকী ও তার সঙ্গীও ফোর্স ২১ পিছ বুপ্রেনরাফিন ইনজেকশন সহ আটক করে বাড়িতে নিয়ে এসে ঘরে প্রবেশ করে ঘরে আরো কোন মাদকদ্রব্য ইনজেকশন আছে বলে খোঁজ খুঁজির এক পর্যায়ে কোন কিছু না পেলে গামছা দিয়ে পা বেঁধে তার সহযোগী হিসেবে এক জনের নাম বলতে বলেন এস আই আব্দুল্লাহ হীল বাকী। আসামি মেহেদী নাম বলতে অস্বীকৃতি জানাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এস আই আব্দুল্লাহ হীল বাকী বেঁধে রাখা পায়ের পাতায় একটি বাশের লাঠি দিয়ে আঘাত সহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিসে নিয়ে যায়। আসামি মেহেদী হাসান মারধোরে অসুস্থ হয়ে পরলে পরের দিন ২৭ জুন আদালতে পেরণ করেন। এর আগে সকালে নওগাঁ সদর মডেল থানা একটি মামলা করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর এস আই আব্দুল্লাহ হীল বাকী।

এই বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই আব্দুল্লাহ হীল বাকীর সাথে একাধিক মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেয়।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর সহকারি পরিচালক মো: লোকমান হোসেন জানায়, মাদক সহ আসামি মেহেদীকে আটক করা হয়েছে। আমাদের অফিসে মারধর করার কোন সুযোগ নেই। আদালতে আসামির অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিটা মাদক ব্যবসায়ীর মারধরের বিষয়ে আদালতে অভিযোগ করা এটি একটা কৌশল তবে তার শরীরের চিহ্ন গুলো আটক করার আগের।

নওগাঁ সদর হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাক্তার জানায়, আসামি মেহেদী হাসান’কে পরিক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার শরীরে হাতের উপরের বাহু অংশ ও কব্জি, দুই পায়ের গোড়ালি ও পাতার অংশে কিছু আঘাত এর চিহ্ন আছে। আদালতের আদেশে পরিক্ষা করা হয় এবং প্রতিবেদন তৈরী করে আদালতে পাঠানো হবে।