ঢাকা ১১:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনায় স্বস্তির বৃষ্টি

  • MAHIM ADNAN
  • আপডেট সময় : ০২:১৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

নেত্রকোনায় বাড়ছে তাপমাত্রা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনুভূত হচ্ছে গরম। রোদের তাপ প্রখর না হলেও অস্বস্তি বোধ হচ্ছিলো। এই যখন অবস্থা তখন নেমে এলো স্বস্তির বৃষ্টি।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই মেঘলা ছিল আকাশ। এরপর শুরু হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। প্রায় বিশ মিনিটের এই বৃষ্টিতে জনজীবন, পশুপাখি, গাছপালা ও প্রকৃতিতে কিছুটা প্রাণ ফিরেছে। এতে গরম কমে আবহাওয়া শীতল হয়ে ওঠে।
বৃষ্টিতে ধুলোবালিতে নাকাল নগরবাসীর মাঝেও স্বস্তি দেখা গেছে।

নেত্রকোনা সরকারি কলেজের ছাত্র আহসান ফাহিন ও পরান খান বলেন, মুখে মাস্ক পড়ে চলতে হয়। ধুলাবালির জন্য হাঁচি-কাশি লেগে ছিলো কদিন ধরেই। বৃষ্টি কম হলেও ধুলাবালির হাত থেকে বাঁচা গেছে।

গুঁড়িগুঁড়ি এই বৃষ্টি ফসলের জন্যে উপকারী হবে বলে মনে করছেন কৃষকেরা। আটপাড়া উপজেলার কৈলং গ্রামের কৃষক মীর্জা বুলবুল মিয়া জানান, সাময়িক বৃষ্টি হলেও এর উপকারিতা অনেক বেশি। সম্পূর্ণ গাছটি ভিজলে ফসলের জন্য উপকারী।

তিনি আরও বলেন, এই মৌসুমে সেচ লাগে প্রতিনিয়ত। এর মাঝে বৃষ্টিটি কাজে লাগছে। তবে শিলাসহ অন্য কোনো দুর্যোগ না হলে সবারই উপকার হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের নেত্রকোনা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ  মামুন জানান, এই বৃষ্টি আজ বা কাল পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে দীর্ঘ সময় হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই।

নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান, এ সময়ের বৃষ্টি সব ফসলের জন্যে উপকারী বিশেষ করে বোরোধান চাষের জন্য বেশ উপকারী। ধানচাষে পর্যাপ্ত পানি প্রয়োজন হওয়ায় এই প্রাকৃতিক পানির বিকল্প নেই। ফলে কৃষকের ফসলের জমিতে সেচের পানির পরিমান কিছুটা কম লাগবে।

তিনি জানান, এবছর জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজার ৪৮০ হেক্টর। এরমধ্যে হাওর অঞ্চলেই আবাদ হয়েছে ৪১ হাজার হেক্টর।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

নেত্রকোনায় স্বস্তির বৃষ্টি

আপডেট সময় : ০২:১৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নেত্রকোনায় বাড়ছে তাপমাত্রা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনুভূত হচ্ছে গরম। রোদের তাপ প্রখর না হলেও অস্বস্তি বোধ হচ্ছিলো। এই যখন অবস্থা তখন নেমে এলো স্বস্তির বৃষ্টি।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই মেঘলা ছিল আকাশ। এরপর শুরু হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। প্রায় বিশ মিনিটের এই বৃষ্টিতে জনজীবন, পশুপাখি, গাছপালা ও প্রকৃতিতে কিছুটা প্রাণ ফিরেছে। এতে গরম কমে আবহাওয়া শীতল হয়ে ওঠে।
বৃষ্টিতে ধুলোবালিতে নাকাল নগরবাসীর মাঝেও স্বস্তি দেখা গেছে।

নেত্রকোনা সরকারি কলেজের ছাত্র আহসান ফাহিন ও পরান খান বলেন, মুখে মাস্ক পড়ে চলতে হয়। ধুলাবালির জন্য হাঁচি-কাশি লেগে ছিলো কদিন ধরেই। বৃষ্টি কম হলেও ধুলাবালির হাত থেকে বাঁচা গেছে।

গুঁড়িগুঁড়ি এই বৃষ্টি ফসলের জন্যে উপকারী হবে বলে মনে করছেন কৃষকেরা। আটপাড়া উপজেলার কৈলং গ্রামের কৃষক মীর্জা বুলবুল মিয়া জানান, সাময়িক বৃষ্টি হলেও এর উপকারিতা অনেক বেশি। সম্পূর্ণ গাছটি ভিজলে ফসলের জন্য উপকারী।

তিনি আরও বলেন, এই মৌসুমে সেচ লাগে প্রতিনিয়ত। এর মাঝে বৃষ্টিটি কাজে লাগছে। তবে শিলাসহ অন্য কোনো দুর্যোগ না হলে সবারই উপকার হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের নেত্রকোনা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ  মামুন জানান, এই বৃষ্টি আজ বা কাল পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে দীর্ঘ সময় হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই।

নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান, এ সময়ের বৃষ্টি সব ফসলের জন্যে উপকারী বিশেষ করে বোরোধান চাষের জন্য বেশ উপকারী। ধানচাষে পর্যাপ্ত পানি প্রয়োজন হওয়ায় এই প্রাকৃতিক পানির বিকল্প নেই। ফলে কৃষকের ফসলের জমিতে সেচের পানির পরিমান কিছুটা কম লাগবে।

তিনি জানান, এবছর জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজার ৪৮০ হেক্টর। এরমধ্যে হাওর অঞ্চলেই আবাদ হয়েছে ৪১ হাজার হেক্টর।