ঢাকা ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কুফা নগরীর সর্বশেষ সাহাবি

  • NUSRAT JAHAN
  • আপডেট সময় : ১০:১৫:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

তার নাম আবদুল্লাহ। উপনাম আবু মুয়াবিয়া/ আবু মুহাম্মদ/আবু ইবরাহিম। পিতা আবু আওফা আলকামা ইবনে খালিদ ইবনে হারিস। তিনি ছিলেন ফকিহ ও বয়স্ক সাহাবি।

পিতা-পুত্র উভয়েই সাহাবি ছিলেন। হুদাইবিয়ার বাইআতে রিজওয়ানে অংশগ্রহণকারীদের অন্যতম। কুফায় ইন্তেকালকারী সর্বশেষ সাহাবি।

হাদিস : তার থেকে বেশ কিছু হাদিস বর্ণিত আছে।

তার থেকে বর্ণনা করেছেন ইবরাহিম ইবনে মুসলিম, ইবরাহিম ইবনে আবদুর রহমান সাকসাকি, ইসমাইল ইবনে আবু খালিদ, আতা ইবনে সায়িব, সুলাইমান আল-আমাশ, আবু ইসহাক আশ-শাইবানি, তালহা ইবনে মুসাররিফ, আমর ইবনে মুররাহ, আবু ইয়া’ফুর (রহ.) প্রমুখ।

রাসুল (সা.)-এর দোয়া : হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রা.)-এর জন্য রাসুল (সা.) বিশেষ দোয়া করেছিলেন। তিনি যখন তাঁর পিতা আবু আওফার জাকাত নিয়ে রাসুল (সা.)-এর খিদমতে উপস্থিত হন, তখন রাসুল (সা.) তার জন্য এ বলে দোয়া করেন, ‘হে আল্লাহ! আবু আওফার পরিবারের ওপর রহমত নাজিল করুন!’ অনুরূপ দোয়া তাঁর পিতার জন্যও করেছিলেন, যখন তিনি তাঁর গোত্রীয় লোকের জাকাত নিয়ে রাসুল (সা.)-এর খিদমতে উপস্থিত হয়েছিলেন।

যুদ্ধ : হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রা.) রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে বেশ কিছু যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

তিনি বলেন, আমরা রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে সাতটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছি। হুনাইনের যুদ্ধে তার একটি হাতের বাহু মারাত্মকভাবে আহত হয়।

বসবাস : রাসুল (সা.)-এর ইন্তেকাল পর্যন্ত মদিনায়ই বসবাস করেছিলেন। এরপর স্থায়ীভাবে কুফায় চলে যান এবং সেখানেই ইন্তেকাল করেন। জীবনের শেষ সময়ে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন।

ইন্তেকাল : হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রা.) ৮৬/৮৮ হিজরিতে ইন্তেকাল করেন। তখন তার বয়স ছিল ১০০ বছরের কাছাকাছি। তিনি কুফায় ইন্তেকালকারী সর্বশেষ সাহাবি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে বিএসটিআই ও র‍্যাবের যৌথ অভিযানে ৫ লক্ষ্য টাকা জরিমানা

কুফা নগরীর সর্বশেষ সাহাবি

আপডেট সময় : ১০:১৫:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

তার নাম আবদুল্লাহ। উপনাম আবু মুয়াবিয়া/ আবু মুহাম্মদ/আবু ইবরাহিম। পিতা আবু আওফা আলকামা ইবনে খালিদ ইবনে হারিস। তিনি ছিলেন ফকিহ ও বয়স্ক সাহাবি।

পিতা-পুত্র উভয়েই সাহাবি ছিলেন। হুদাইবিয়ার বাইআতে রিজওয়ানে অংশগ্রহণকারীদের অন্যতম। কুফায় ইন্তেকালকারী সর্বশেষ সাহাবি।

হাদিস : তার থেকে বেশ কিছু হাদিস বর্ণিত আছে।

তার থেকে বর্ণনা করেছেন ইবরাহিম ইবনে মুসলিম, ইবরাহিম ইবনে আবদুর রহমান সাকসাকি, ইসমাইল ইবনে আবু খালিদ, আতা ইবনে সায়িব, সুলাইমান আল-আমাশ, আবু ইসহাক আশ-শাইবানি, তালহা ইবনে মুসাররিফ, আমর ইবনে মুররাহ, আবু ইয়া’ফুর (রহ.) প্রমুখ।

রাসুল (সা.)-এর দোয়া : হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রা.)-এর জন্য রাসুল (সা.) বিশেষ দোয়া করেছিলেন। তিনি যখন তাঁর পিতা আবু আওফার জাকাত নিয়ে রাসুল (সা.)-এর খিদমতে উপস্থিত হন, তখন রাসুল (সা.) তার জন্য এ বলে দোয়া করেন, ‘হে আল্লাহ! আবু আওফার পরিবারের ওপর রহমত নাজিল করুন!’ অনুরূপ দোয়া তাঁর পিতার জন্যও করেছিলেন, যখন তিনি তাঁর গোত্রীয় লোকের জাকাত নিয়ে রাসুল (সা.)-এর খিদমতে উপস্থিত হয়েছিলেন।

যুদ্ধ : হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রা.) রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে বেশ কিছু যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

তিনি বলেন, আমরা রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে সাতটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছি। হুনাইনের যুদ্ধে তার একটি হাতের বাহু মারাত্মকভাবে আহত হয়।

বসবাস : রাসুল (সা.)-এর ইন্তেকাল পর্যন্ত মদিনায়ই বসবাস করেছিলেন। এরপর স্থায়ীভাবে কুফায় চলে যান এবং সেখানেই ইন্তেকাল করেন। জীবনের শেষ সময়ে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন।

ইন্তেকাল : হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রা.) ৮৬/৮৮ হিজরিতে ইন্তেকাল করেন। তখন তার বয়স ছিল ১০০ বছরের কাছাকাছি। তিনি কুফায় ইন্তেকালকারী সর্বশেষ সাহাবি।